ভোটার তালিকায় নাম তোলার বিষয়টি নিয়ে নিয়ম মোতাবেক রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরে হল সর্বদল বৈঠক ।১৮ নভেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ হবে। অনলাইনেও আবেদন করতে পারবেন ভোটাররা। ১৫ জানুয়ারি সংশোধিত চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ হবে। বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সামানি রিভিশনের কাজের চূড়ান্ত প্রক্রিয়া চলবে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত । এখনও পর্যন্ত যা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা অনুযায়ী ১৫ জানুয়ারি প্রকাশিত হবে ভোটার তালিকা । সব ঠিক থাকলে এই তালিকাতেই হবে বিধানসভা নির্বাচন । তবে সামারি রিভিশনের পরেও ভোটার তালিকায় নাম তোলার কাজ নিয়ম মতো চলবে । ৭৮ হাজার ৯০৩ বুথে সংশোধনের কাজ চলবে৷ দুপুর ১২ টা থেকে ৩টে পর্যন্ত ভোটার তালিকা সংশোধন চলবে৷ অনলাইনেও আবেদন করা যাবে৷ কোনও সমস্যায় ১৯৫০ টোল ফ্রি নম্বরে ফোন করা যাবে৷ ১৫ জানুয়ারি সংশোধিত চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ হবে ৷ এদিনের কমিশনের সঙ্গে সর্বদল বৈঠকে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে ত্রুটিমুক্ত ভোটার তালিকা তৈরির দাবি জানায় সব রাজনৈতিক দল। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার আরিজ আফতাবের সঙ্গে দেখা করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সিপিএম নেতা রবীন দেব, কংগ্রেস নেতা ঋজু ঘোষাল, বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। বৈঠক শেষে সিপিআইএম নেতা রবীন দেব সাংবাদিকদের বলেন, ৭৮৯০৩ টি বুথে যাতে বুথ কর্মীরা ঠিকমত বসে কাজ করতে পারেন, সেটা নজর রাখতে হবে। নির্ভুল ভোটার তালিকা তৈরি করতে হবে। যা কমিশনের দায়িত্ব। ভোতার তালিকা তৈরির সময় সকাল ১২টা থেকে ৩টে পর্যন্ত বিএলও’রা থাকবেন। কমিশন জানিয়েছে, তার প্রেক্ষিতে তাঁরা জানিয়েছেন, এই কাজে স্থায়ী কর্মচারীর নিয়োগ করতে হবে। ভুতুড়ে ভোটারদের নাম বাদ দিতে হবে। কোনও অজুহাতে কোনও বৈধ ভোটারের নাম বাদ দেওয়া যাবে না। মালদা ও মুর্শিদাবাদের গঙ্গা ভাঙনের জন্য ভোটারদের ঠিকানা পাল্টে যাচ্ছে, এখানে বিএলআরওদের সক্রিয় ভূমিকা নিতে হবে। যদি একজন আবেদনকারী নাম বাদ যায় তাহলে তাকে জানাতে হবে কেনও তাঁর নাম বাদ গেল। ৩ ধরনের ভোটার কার্ড নিয়ে যে সমস্যা আছে, সেই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে সুস্পষ্টভাবে জানাতে হবে, যে কোন ভোটার কার্ডের ভোটাররা ভোট দেবে। ২৩ টা জেলা থাকলেও নির্বাচনের ক্ষেত্রে ২৪টা জেলা সব জেলাগুলোতেই এই বিষয়ে যত্নবান হতে হবে।