ইরানের বিরুদ্ধে আধ ডজন গোলে বিশ্বকাপে দুরন্ত সূচনা করেছিল ‘থ্রি লায়ন্স’। কিন্তু মার্কিনীদের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ম্যাচে হোঁচট খায়। ড্রয়ের গেরোয় আটকে গিয়েছিল হ্যারি কেনরা। আবার চেনা ছন্দে ফিরল সাউথগেটের দল। মঙ্গলবার রাতে আল বায়ান স্টেডিয়ামে ওয়েলসকে ৩-০ গোলে হারাল ইংল্যান্ড। জোড়া গোল করেন মার্কাস রাশফোর্ড। অন্য গোলটি ফিল ফোডেনের। ৭ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের একনম্বর দল হিসেবেই পরের রাউন্ডের ছাড়পত্র সংগ্রহ করল ইংল্যান্ড। রবিবার প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে সেনেগালের মুখোমুখি হবে হ্যারি কেনরা। ৫৬ বছর পর আবার বিশ্বজয়ের স্বপ্নে আরও একধাপ এগোল ইংল্যান্ড। অন্যদিকে প্রতিবেশীদের স্বপ্নভঙ্গ। ৬৪ বছর পর বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পেয়েছিল ওয়েলস। কিন্তু শেষপর্যন্ত যাবতীয় আশার জলাঞ্জলি। গ্রুপ পর্বে তিনের মধ্যে দুটো হার, একটা ড্র। জঘন্য পারফরম্যান্স বেলদের। ডাহা ব্যর্থ ওয়েলসের তারকা ফুটবলার। গ্রুপ বি-র অন্য ম্যাচে ইরানকে ১-০ গোলে হারায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ম্যাচের একমাত্র গোল করেন ক্রিস্টিয়ান পুলিসিচ। ৩৮ মিনিটে করা মার্কিন স্ট্রাইকারের গোল দুই দলের মধ্যে পার্থক্য গড়ে দেয়। পরের রাউন্ডে যেতে ইরানের দরকার ছিল একটা ড্র। দারুণ লড়াই করলেও ম্যাচে সমতা ফেরাতে পারেনি। আশা জাগিয়েও বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিল ইরান। দ্বিতীয় দল হিসেবে পরের রাউন্ডে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। শনিবার নেদারল্যান্ডের বিরুদ্ধে নামবে ইউএসএ। প্রথমার্ধের বেশিরভাগ সময়ই ওয়েলসের ফুটবলাররা দর্শকের ভূমিকা পালন করেন। খুঁজেই পাওয়া যায়নি গ্যারেথ বেলকে। প্রথমার্ধ গোলশূন্য শেষ হয়। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে মাত্র এক মিনিটের ব্যবধানে জোড়া গোল। ম্যাচের ৫০ মিনিটে দুর্দান্ত ফ্রিকিকে ইংল্যান্ডকে এগিয়ে দেন মার্কাস রাশফোর্ড। তার এক মিনিট পরই ২-০। হ্যারি কেনের ক্রস থেকে গোল করেন ফিল ফোডেন। দুই দলের শেষ সাত সাক্ষাতে ইংল্যান্ডকে হারাতে পারেনি ওয়েলস। এবারও পারলেন না বেলরা। দ্বিতীয়ার্ধ পুরোপুরি একপেশে। ম্যাচের ৬৮ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় এবং দলের তৃতীয় গোল তুলে নেন মার্কাস রাশফোর্ড। প্রায় রক্ষণভাগ থেকে ভেসে আসা একটা বল রিসিভ করে ইনসাইড আউট করে বিপক্ষের ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বাঁ পায়ের শটে গোল করেন ইংল্যান্ডের স্ট্রাইকার। গোল করা মাত্রই ইতিহাসের পাতায় রাশফোর্ড। কারণ এটা ইংল্যান্ডের একশোতম আন্তর্জাতিক গোল। দীর্ঘদিন বাদে আবার চেনা ছন্দে পাওয়া যায় রাশফোর্ডকে। ম্যাচের ৭৭ মিনিটে চতুর্থ গোল পেতে পারত ইংল্যান্ড। বেলিংহ্যামের শট বাঁচিয়ে দেন ওয়েলসের গোলকিপার ওয়ার্ড। ফিরতি বল বাইরে মারেন ফোডেন। নিশ্চিত সিটার নষ্ট। একেবারে অন্তিমলগ্নেও ইংল্যান্ডের সুযোগ মিস।