করোনা ভ্যাকসিন নিলেও কোভিড-১৯ থেকে মুক্তি মিলবে, এমন নিশ্চয়তা নেই। বরং কোভিশিল্ড ও কোভ্যাকসিনের দু’টি ডোজ নেওয়া হলেও ডেল্টা স্ট্রেইন থেকে সংক্রমণের সম্ভাবনা থেকেই যায়। এই আশঙ্কার কথা শোনাল দিল্লি এইমস। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে টিকাকেই বর্ম হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে। এই অবস্থায় দিল্লি এইমসের রিপোর্ট প্রশাসনকে চিন্তায় ফেলেছে। করোনা ভাইরাসের ‘ডেল্টা’ স্ট্রেইন চিহ্নিত হয়েছিল। এই স্ট্রেইন সবচেয়ে মারাত্মক বলে আগেই জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এবার সেই স্ট্রেইনের আরও মারাত্মক ক্ষমতার কথা সামনে নিয়ে এল এইমসের ও ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল -এর সাম্প্রতিক দু’টি আলাদা গবেষণা। এই গবেষণায় প্রাথমিক ভাবে উঠে এসেছে, করোনার টিকা কোভিশিল্ড বা কোভ্যাক্সিন নেওয়া থাকলেও, মানবদেহে করোনার সংক্রমণ করতে পারে এই ডেল্টা স্ট্রেইন। এইমসের গবেষণায় উঠে এসেছে, ইউকে-তে পাওয়া করোনার ‘আলফা’ স্ট্রেইন থেকে প্রায় ৪০-৫০ গুণ বেশি ক্ষতিকারক এই ডেল্টা স্ট্রেইন। এবং এই স্ট্রেইনের জেরেই ভারতের
করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ এতটা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। এইমস ও ইনস্টিটিউট অফ জিনোমিকস অ্যান্ড ইন্টাগ্রেটিভ বায়োলজির নতুন এই গবেষণা করা হয়েছিল হাসপাতালের এমারজেন্সিতে শুয়ে থাকা ৬৩ জন উপসর্গযুক্ত রোগীকে নিয়ে। তাঁদের পাঁচ থেকে সাতদিন টানা খুব বেশি পরিমাণে জ্বর ছিল।এই ৬৩ জনের মধ্যে ৫৩ জনের কোভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ নেওয়া ছিল। এবং বাকিরা কোভিশিল্ডের প্রথম ডোজ নিয়েছিলেন। ৩৬ জনের যে কোনও একটি ভ্যাক্সিনের দু’টি ডোজই নেওয়া ছিল। একটি করে ডোজ নেওয়া রোগীদের ৭৬.৯ শতাংশের শরীরে করোনার ডেল্টা স্ট্রেইন পাওয়া গিয়েছে। এবং দু’টি করে ডোজ নেওয়াদের ৬০ শতাংশের শরীরে ডেল্টা স্ট্রেইন মিলেছে। করোনার ওই প্রজাতিটির নাম বি.১.৬১৭.২। ভারতে করোনাভাইরাসের তিন বার রূপ পরিবর্তনকারী প্রজাতি অর্থাৎ বি.১.৬১৭ পাওয়া গিয়েছে। তারই একটি রূপ এটি। গত মাসে এই প্রজাতির তিনটি প্রকারভেদকেই উদ্বেগজনক ভাইরাস হিসাবে চিহ্নিত করেছিল হু।