ত্রিপুরায় কাজ করতে গিয়ে হেনস্থার মুখে পড়তে হয়েছে তৃণমূলের ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের টিম আইপ্যাক এর সদস্যদের। বিজেপি শাসিত রাজ্যে এই ঘটনায় নিন্দায় মুখর তৃণমূল। আর এবার ত্রিপুরার উদ্দেশে রওনা হচ্ছেন অভিষেক ব্যানার্জিও। সব ঠিক থাকলে বৃহস্পতিবার দুপুরেই দিল্লি থেকে ত্রিপুরার উদ্দেশে রওনা দেবেন তিনি। লক্ষ্য পড়শি রাজ্যে আটক আইপ্যাক কর্মীদের পাশে থাকা এবং স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের উৎসাহ দেওয়া। যদিও তাঁর আগেই ওই কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে, তাদের মুক্ত করতে, ত্রিপুরা গেছে তৃণমূলের তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল। সেই দলে রয়েছেন আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত ব্যানার্জি। এদিকে টিম পিকে’র পাশে দাঁড়িয়ে বিপ্লব দেব সরকারের তীব্র নিন্দায় সরব হলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা মানিক সরকার। এবার তৃণমূলের সুরেই সুর মেলাতে শোনা গেল ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারকে। আইপ্যাকের সদস্যদের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে, তাতে বিস্মিত, ব্যথিত তিনি। হারের ভয়েই বিজেপির এই কাজ বলে মনে করছেন বর্ষীয়ান সিপিআইএম নেতা।তিনি বলেন, ‘হারের ভয়ে বিজেপি সরকারের এই কাজের তীব্র নিন্দা করছি। এটা কোন ধরনের সরকার? একটা দল সমীক্ষা করতে এসেছে, তাদের আটকে রাখা হল কেন?’ যদিও মঙ্গলবার রাতে আইপ্যাকের ২৩ সদস্যের প্রত্যেকের উপর থেকে নজরদারি প্রত্যাহার করা হয়েছে। আপাতত সকলের আরটি–পিসিআর রিপোর্ট নেগেটিভ। তাঁরা আগরতলার হোটেলেই রয়েছেন। রবিবার থেকেই ত্রিপুরায় নজরবন্দি হয়ে রয়েছেন আইপ্যাক এর কর্মীরা। অভিযোগ একটি হোটেলে আটকে রাখা হয়েছে তাঁদের। অবশ্য ত্রিপুরা পুলিশের বক্তব্য করোনা পরীক্ষার জন্যেই ওই ২৩ জনকে একটি হোটেলে রাখা হয়েছে। উল্লেখ্য মঙ্গলবার রাতেই ওই ২৩ জনের করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।