১৭ মাস পর জেল থেকে বের হবেন দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া। দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় তিনি অভিযুক্তের তালিকায়। মণীশের জামিনের আবেদন হাইকোর্টে খারিজ হলেও শেষমেশ সুপ্রিম কোর্ট তাঁর জামিনের আবেদনে সায় দেয়। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিআর গভাই ও কেভি বিশ্বনাথের বেঞ্চ এই মামলায় নির্দেশ ৬ অগস্ট রিজার্ভে রেখেছিল। ৪ শর্তে তাঁকে এই জামিন দেওয়া হয়েছে। মণীশ সিসেদিয়াকে জামিন দেওয়ার সময় সুপ্রিম কোর্ট বলে,জামিনের ব্যাপারে হাইকোর্ট আর ট্রায়াল কোর্ট নিজেকে সুরক্ষিত করছে। মূলত, চারটি শর্তে সিসোদিয়াকে জামিন দেওয়া হয়েছে। সাক্ষীদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করা থেকে বিরত থাকতে হবে বা প্রমাণের সাথে হস্তক্ষেপ করা থেকে দূরে থাকতে হবে। দুটি সিওরিটি সহ সহ ১০ লক্ষ টাকার একটি জামিন বন্ড প্রদান করুন৷ পাসপোর্ট পুলিশ স্টেশনে রাখতে হবে। তদন্তকারী অফিসারের কাছে সপ্তাহে দুবার হাজিরা দিতে হবে। কোর্ট বলছে, তাঁকে ফের ট্রায়াল কোর্টে পাঠানো ‘বিচারের প্রতারণা’ হবে। কড়া মেজাজে সুপ্রিম কোর্টের তরফে বলা হয়,’ আদালত ভুলে গিয়েছে যে শাস্তি হিসেবে জামিন আটকে রাখা উচিত নয়। নীতিগত জামিন নিয়ম এবং জেল ব্যতিক্রম।’ উল্লেখ্য, যে মামলায় মণীশ সিসোদিয়া জেল বন্দি হন, সেই দিল্লি আবগারী দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমেছে সিবিআই, ইডি। সেখানে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ ওঠে। সেই মামলাতেই গ্রেফতার হন দিল্লির আম আদমি পার্টির নেতা মণীশ সিসোদিয়া। মণীশ সিসোদিয়া যখন দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, তখন তিনি গ্রেফতার হয়েছিলেন। এরপর জেলবন্দি অবস্থায় তিনি পদত্যাগ করেন। ফলে বর্তমানে পদাধিকারে তিনি দিল্লির উপমুখ্যনন্ত্রী আর নন।