চাপের মুখে পরে শেষে সরতে বাধ্য হলেন। অবশেষে পদত্যাগ করলেন ফেসবুক ইন্ডিয়া-র পাবলিক পলিসি বা জননীতি-র প্রধান আঁখি দাস। ফেসবুকের নীতি লঙ্ঘন করে রাজনৈতিক বিষয়বস্তু নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ নিয়ে বিতর্কের মাঝেই সরে গেলেন তিনি। অভিযোগ ছিল, এই পদে থাকার সুবাদে বিজেপির সঙ্গে গোপন আঁতাতে জড়িয়েছিলেন তিনি। ফেসবুকে বিজেপির একাধিক উস্কানিমূলক খবরকে ছাড় দেওয়া হত। এমনকী বিজেপির হয়ে ফেসবুকে এক প্রকার প্রচার চালিয়েছিলেন তিনি। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোেটর সময় থেকেই এই কাজ করেছিলেন তিনি। আঁখি দাস অবশ্য শুধু ভারত নয়, ভারত, দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার জননীতি-র প্রধান ছিলেন। মঙ্গলবার সংস্থার পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ফেসবুক ইনকর্পোরেশনের পাবলিক পলিসি ডিরেক্টর আঁখি দাস পদত্যাগ করেছেন। ফেসবুকের সবচেয়ে বড় বাজার ভারত। সেখানে রাজনৈতিক বিষয়বস্তু কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে সংস্থা, সেই নিয়ে ফেসবুক এবং আঁখি দাস, সংস্থার অভ্যন্তরেই প্রশ্নের মুখোমুখি হওয়ার কয়েক সপ্তাহ পরই পরই পদত্যাগ করলেন আঁখি দাস। গত ১৪ অগাস্ট ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল বিজেপিকে বিশেষ সুবিধা পাইয়ে দেন ফেসবুক ইন্ডিয়ার অন্যতম শীর্ষস্থানীয় কার্যনির্বাহী কর্তা আঁখি দাস। ফেসবুক-এর অভ্যন্তরীন কর্মীদের বয়ান তুলে বলা হয়, বাজার নষ্টের ভয়ে ভারতে বিজেপি ও আরএসএস নেতাদের ঘৃণাবাক্য সেন্সর না করার নির্দেশ দিয়েছিলেন আঁখি। এই নিয়ে মার্ক জুকেরবার্গকেও চিঠি দিয়েছিল কংগ্রেস। পরে তৃণমূল কংগ্রেস-এর প্রতিও আঁখি দাসের পক্ষপাত-এর অভিযোগ তুলেছিল সিপিএম।