জেলা

রাজ্যে আসছে ৪ বিজেপির সদস্যের তথ্যানুসন্ধান দল

পঞ্চায়েত ভোটে সন্ত্রাসের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে রাজ্যে তথ্যানুসন্ধান দল পাঠাচ্ছে বিজেপি। দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডা ওই দলের চার সদস্যের নাম ঘোষণা করেন সোমবার। ওই দলে রয়েছেন বিজেপির চার সাংসদ। তাঁরা হলেন রবি শঙ্কর প্রসাদ, সত্যপাল সিং, রাজদীপ রায় এবং রেখা বর্মা। ওই দলকে পঞ্চায়েত ভোটের দিন হিংসাদীর্ণ এলাকাগুলি ঘুরে দ্রুত নাড্ডার কাছে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটে হিংসা নিয়ে ইতিমধ্যে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব বাংলায় ৩৫৫ কিংবা ৩৫৬ ধারা প্রয়োগের দাবি জানিয়েছে। কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ চেয়ে ভোটার দিন বিকেলেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ভোটের খবর জানতে চেয়ে তার আগেই শাহ ফোন করেছিলেন সুকান্তকে। ওই দিন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও বলেন, ৩৫৫ কিংবা ৩৫৬ ধারা প্রয়োগ না করলে বাংলা শান্ত হবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হটাতে আমি যতদূর যেতে হয় যাব।  ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের পর রাজ্যে হিংসা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বিজেপি তথ্যানুসন্ধানী দল পাঠিয়েছিল বঙ্গে। এছাড়া সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তখন রাজ্যে এসেছিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের একটি দল। বিজেপির ওই তথ্যানুসন্ধানী দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন বাংলার বর্তমান সি ভি আনন্দ বোস। বিজেপি এই তথ্যানুসন্ধানী দল পাঠানোয় এবং সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে জাতীয় মানবধিকার কমিশনের প্রতিনিধিরা এই রাজ্যে আসায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন শাসকদলের নেতা মন্ত্রীরা।পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে নেমে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিক মন্ত্রী এবং নেতা বার বাড়ি প্রশ্ন তুলেছিলেন, পান থেকে চুন খসলেই কেন বাংলায় শুধু কেন্দ্রীয় দল পাঠানো হয়।বিজেপি শাসিত রাজ্য গুলিতে যে এতো খুন জখম ধর্ষণ হয়, এই যে মণিপুরে এতো হিংসা হল তার জন্য কটা কেন্দ্রীয় দল সেখানে গিয়েছে? এখানে বিড়াল কুকুর মরলেও কেন্দ্রীয়দল পাঠানো হয়। এবার পঞ্চায়েত ভোটের হিংসা নিয়ে তথ্যানুসন্ধানী দল নিয়ে বিতর্ক শুরু হল বলে।