ঘোষণা হয়ে গিয়েছে হরিয়ানায় বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট। সবপক্ষই নেমেও পড়েছে ভোটের ময়দানে। এর মধ্যেই হঠাৎ ভোটের দিন পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানাল রাজ্যের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি। এজন্য তারা দ্বারস্থও হয়েছে নির্বাচন কমিশনের। আর তাতেই রাজ্যজুড়ে শোরগোল চরমে। হঠাৎ ভোট পিছনোর দাবি তোলায় কংগ্রেসের কটাক্ষের মুখে পড়েছে গেরুয়া শিবির। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপিন্দর সিং হুডা বলেছেন, ‘ এ তো ভোটের আগেই হার মেনে নিল বিজেপি!’ হরিয়ানায় ভোট হওয়ার কথা আগামী ১ অক্টোবর। কিন্তু তার আগে ও পরে ছুটির কথা উল্লেখ করে তা পিছিয়ে দেওয়ার জন্য কমিশনকে ইমেল পাঠিয়েছেন রাজ্য বিজেপির প্রধান মোহন লাল বাদোলি। তাঁর যুক্তি, ১ অক্টোবরের আগে ও পরে ছুটি থাকায় অনেকেই বেড়াতে চলে যেতে পারেন। এর ফলে ভোটদানের হার কম হবে। সেজন্য কমিশনকে ভোটের দিন বদল করতে বলেছেন তিনি। এব্যাপারে ব্যাখ্যা দিয়ে রাজ্যে দলের নির্বাচন ম্যানেজমেন্ট কমিটির এক সদস্য বলেছেন, ভোটের দিন এমনিতে ছুটি থাকে। পরদিন মহাত্মা গান্ধী জয়ন্তী। ৩ অক্টোবরও মহারাজ অগ্রসেন জয়ন্তীতে ছুটি থাকবে। ২৮ সেপ্টেম্বর শনিবার। সেদিন অনেক অফিসেই ছুটি থাকে। মাঝে রবিবার। সোমবারটা ‘ম্যানেজ’ করতে পারলেই কয়েকদিনের লম্বা ছুটি। সেই কারণেই ভোট পিছনোর আর্জি। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নবাব সিং সাইনিও ভোট পিছিয়ে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছেন। বিজেপির এই সংক্রান্ত ইমেলের প্রাপ্তিস্বীকার করেছেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক পঙ্কজ আগরওয়াল। জানিয়েছেন, ইমেলটি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে কমিশনের কাছে। গত ১৮ আগস্ট হরিয়ানায় ভোটের দিন ঘোষণা হয়েছে। তার সপ্তাহখানেক পরে কেন এই দাবি জানাল বিজেপি? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এই প্রসঙ্গ তুলেই পদ্ম-পার্টিকে বিঁধেছেন কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হুদা। তিনি বলেন, ‘রাজ্যের মানুষ আর একদিনও বিজেপিকে ক্ষমতায় চাইছে না। আমরা নির্ধারিত সময়েই নির্বাচন চাইছি। ভোটের দিন পিছোনের কথা বলে হার মেনে নিয়েছে বিজেপি।’ এ সবের মধ্যেই বিধানসভা ভোটে আম আদমি পার্টি (আপ)-এর সঙ্গে জোটের সম্ভাবনা খারিজ করে দিল কংগ্রেস।