জাতীয় পরিবেশ আদালতের রায় মেনে পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ দিঘা-মন্দারমণিতে ৫০টি হোটেল-রিসর্ট বন্ধ করার নির্দেশ জারি করেছে। আর সেই নির্দেশের জেরেই সেখানে প্রত্যক্ষ ভাবে প্রায় ৬০০ জন ও পরোক্ষ ভাবে প্রায় ৬ হাজার মানুষ কাজ হারাতে চলেছেন। সমস্যার সমাধান চেয়ে মন্দারমণি হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফে মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্য সরকারের হস্তক্ষেপও চাওয়া হয়েছে। জানা গেছে, বেশ কিছু হোটেল ও রিসর্ট রয়েছে যেগুলির ভেতরে জোয়ারের জল ঢুকে যায়। একদম সৈকতের ওপরে ওই সব হোটেল ও রিসর্ট গড়ে ওঠায় পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছিল ক্রমশ। সেই সঙ্গে হোটেলগুলির দূষিত জল ও অনান্য দ্রব্য সরাসরি সমুদ্রে মিশে সাগরের জলকেও দূষিত করে তুলছিল। এইসবের জেরেই জাতীয় পরিবেশ আদালতে দায়ের হায় মামলা। সেই মামলাতেই দাবি করা হয়, বার বার আদালত নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও প্রয়োজনীয় পরিবেশবিধি মেনে চলছে না ওই সব হোটেল ও রিসর্ট। এমনকি পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কাছ থেকেও হোটেল ও রিসর্ট চালানোর ছাড়পত্র নেওয়া হয়নি। তার জেরে পর্ষদের তরফে হোটেলগুলিকে আগে শোকজও করা হয়েছিল। কিন্তু তার জেরে কোনও উত্তর দেওয়া তো দূরের কথা কার্যত উদাসিনই থেকেছে তাঁরা। জাতীয় পরিবেশ আদালতে পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছিল, মন্দারমণিতে গড়ে ওঠা অনেক হোটেল ও রিসর্ট পরিবেশবিধির তোয়াক্কা করছে না। উপকূল সুরক্ষার বিধি মেনে বর্জ্য পরিশোধনকেন্দ্র বা ইটিপি তৈরির কথা। কিন্তু তা না করে অপরিশোধিত জলই হোটেল থেকে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে সাগরের বুকে। ২০২১ সালে এই হোটেলগুলি তিন বার পরিদর্শন করা হয়েছিল। সেই সময়ে প্রয়োজনীয় ছাড়পত্রের ব্যাপারে হোটেল কর্তৃপক্ষগুলিকে জানানোও হয়। কিন্তু তারপরেও হুঁশ ফেরেনি তাঁদের।