জেলা

পুড়ে ছাই হয়ে গেল ডুয়ার্সের ঐতিহ্যবাহী হলং বনবাংলো

আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেল ডুয়ার্সের ঐতিহ্যবাহী হলং বনবাংলো। ডুয়ার্সের মাদারিহাট সংলগ্ন জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের জঙ্গলের ভেতর থাকা পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় এই বাংলোটিতে মঙ্গলবার রাত ৯টা নাগাদ আগুন লাগে। আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় কাঠের তৈরি সুদৃশ্য গোটা বাংলো। আগুন লাগার খবর পেয়ে দমকলের দুটো ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছলেও তাদের পক্ষে এত বড় মাপের আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়নি। কিছুক্ষণের মধ্যেই বাংলোটি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। জঙ্গলের ভেতরে শান্ত পরিবেশে গন্ডার, হাতি, বাইসন সহ বন্যজন্তু ও পাখিদের সান্নিধ্য ভোগ করার জন্য এই বাংলোটি পর্যটকদের পাশাপাশি উচ্চপদস্থ আধিকারিক ও আমলাদের কাছেও অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিল। ১৯৬৭ সালে তৈরির পর থেকে এই বাংলোতে সাধারণ পর্যটকদের পাশাপাশি অজস্র মানুষ থেকেছেন, তাঁরা এখানকার মুগ্ধকরা পরিবেশের ভাল স্মৃতি নিয়েই ফিরেছেন। এদিনের পর বাংলোটিই স্মৃতি হয়ে গেল। ১৫ জুন থেকে জঙ্গল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এদিন আগুন লাগার সময় বাংলোটিতে কোনও পর্যটক ছিলেন না। বনদপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে – বাংলোর একজন কর্মী রাত ৯টা নাগাদ বাংলোর একটি অংশে আগুন দেখতে পান। সম্ভবত শটসার্কিট থেকে আগুন লেগেছিল। এর কিছুক্ষণ পরই বাংলোর একটি এসি মেশিনে বিস্ফোরণ হয়। এর পরই দ্রুত গোটা বাংলোয় আগুন ছড়িয়ে পড়ে। বনকর্মীরা ফায়ার এক্সটিঙ্গুইসার বা ছোট আকারের অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও তাঁরা ব্যার্থ হন। ফালাকাটা ও হাসিমারা থেকে দমকলের দুটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। ঘটনার খবর পেয়ে রাত দশটা নাগাদ মাদারিহাটের বিডিও, বনদপ্তরের ডিএফও সহ অন্যান্য আধিকারিকেরা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। উত্তরবঙ্গের মুখ্য বনপাল ভাস্কর জে ভি জানিয়েছেন, আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং ক্ষয়ক্ষতির হিসেব করা হচ্ছে।