‘স্বাস্থ্যসাথী’ কার্ড না থাকলেও অসুস্থ ব্যক্তিকে ভর্তি করে প্রয়োজনীয় চিকিত্সা শুরু করে দিতে হবে। কার্ড না থাকার অজুহাতে তাঁকে ফেরানো যাবে না। সেক্ষেত্রে হাসপাতালগুলির বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কলকাতা পুরসভার মুখ্যপ্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। তিনি জানিয়েছেন, হাসপাতালে ‘স্বাস্থ্যসাথী’ কার্ড জমা দেওয়ার জন্য ২৪ ঘণ্টা সময় দিতে হবে তাঁকে। সেই সময়কার খরচ দিয়ে দেবে রাজ্য সরকার। শনিবার কলকাতার ৯৯ টি বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমের শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে রোগী ফেরানোর অজস্র অভিযোগ নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেছিলেন কলকাতা পুরসভার শীর্ষকর্তারা। সেখানেই এমনই কয়েকটি নির্দেশ বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এখানেই শেষ নয়। রোগী ফেরানোর অভিযোগে ক্ষুব্ধ পুরমন্ত্রী কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে বেসরকারি হাসপাতালের কর্তাদের জানিয়ে বলেন, ‘আগে রোগীদের চিকিত্সা শুরু করুন, গরিব মানুষকে সুস্থ করুন, তারপর চিকিত্সার খরচের রেট নিয়ে দরাদরি করবেন।’ আজ বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গে শুরুতেই বেশ কয়েকটি হাসপাতালের নাম করে অভিযোগ ‘স্বাস্থ্যসাথী’ কার্ড থাকা সত্ত্বেও রোগীদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে সরাসরি অভিযোগ করেন পুরমন্ত্রী। পুরকর্তাদের অভিযোগ, ‘বেড খালি নেই’, ‘আইসিইউ ফাঁকা নেই’ – এসব অজুহাত তুলে বেশ কয়েকটি হাসপাতাল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প থেকে সাধারণ মানুষকে বঞ্চিত করছে। বৈঠকে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়, হাসপাতালের বাইরে একটি সাইনবোর্ড লাগাতে হবে, যাতে লেখা থাকবে ‘স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের পরিষেবা আছে’। পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্যসাথীর পরিষেবা দেওয়ার জন্য পৃথক ওয়ার্ড চালুর সুপারিশ করেন ফিরহাদ হাকিম ।