হক জাফর ইমাম: মালদা: করোনার কারণে রুজিরুটি হারাতে বসেছেন মালদা জেলার বাউল শিল্পীরা। তাঁদের রুজিরুটি একমাত্র গান। সেই একতারা, খঞ্জনি, গানের পোশাক ঘরের তাকে তুলে রাখা আছে সেই মার্চ মাস থেকে। কবে আবার তাঁদের মঞ্চের আলোয় দেখা যাবে কেউ যানে না। বাউল শিল্পীরা এখন না খেতে পেয়ে কেউ মুরগি বিক্রির কাজে নেমে পড়েছেন, কেউবা টোটো চালাচ্ছে, কেউবা সবজি বিক্রি করে দিন অতিবাহিত করছেন। এরকমই একজন মালদার মালঞ্চপল্লীর মনোজিৎ সিংহ বাউল। মঞ্চে মঞ্চে গান গাওয়ার পাশাপাশি তিনি আবার বাউল গানের শিক্ষকতাও করেন। নিজে গান গেয়ে এবং শিক্ষকতা করে উপার্জন করে থাকেন। এখন বাউল গানের অনুষ্ঠান বন্ধ সেই ৭ মাস ধরে। ছাত্ররা এখন করোনা আবহে আর আসছেন না। বেগতিক দেখে এখন মুরগি বিক্রি কাজে নেমেছেন তিনি। মহাজনের কাছ থেকে বড় মুরগি কিনে বাজারে বিক্রি করলে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। তাই মুরগি ছানা এনে বড় করে বাজারে বিক্রি করছেন তিনি। এই করে এখন তাঁর কোনও রকমে চলছে সংসার। মনোজিতের ‘সপ্তসুর লোক সঙ্গীত সংস্থা’র আর কোনও বাইনা নেই। পুজো আর মাত্র কয়েকদিন। তাঁর দলের অন্য সদস্যদেরও একই অবস্থা। মনোজিত বলছেন,‘বাজার, হাট, ট্রেন, মেট্রো-সব খুলে দেওয়া হয়েছে। আমাদের গানের অনুষ্ঠানের এখনও কোনও ব্যবস্থা করা হয় নি। সরকারের কাছে বিনম্র আবেদন, যেন আমাদেরও অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা হয়। তানা হলে এরপর আমাদের না খেয়ে মরতে হবে। এমনকী আত্মহত্যার ঘটনাও ঘটতে পারে।