প্রয়াত রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ তথা বর্ষীয়ান সাংবাদিক চন্দন মিত্র ৷ গতকাল গভীর রাতে দিল্লিতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে ৷ তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর। ‘পাইওনিয়র’ পত্রিকার এডিটর-ইন-চিফ চন্দনবাবু দ্য স্টেটসম্যান, দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া, দ্য সানডে অবজারভার, হিন্দুস্তান টাইমস পত্রিকায়ও কাজ করেছেন। তিনি দুবার রাজ্যসভার সাংসদের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। সমাজ- সংবাদের ভাষ্যকার চন্দন মিত্রের প্রয়াণ সাংবাদিকতার জগতে এক অপূরণীয় ক্ষতি। টুইটে বাবার মৃত্যুর খবর দেন ছেলে কুশন মিত্র ৷ কুশন টুইটে লেখেন, “বেশকয়েদিন ধরে বাবা ভুগছিলেন ৷ গতকাল রাতে তিনি মারা গিয়েছেন ৷” তাঁর মৃত্যুর খবর পেয়ে শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ প্রধানমন্ত্রী টুইটে লেখেন, “শ্রী চন্দন মিত্রজি সবসময় তাঁর বুদ্ধি ও অন্তর্দৃষ্টির জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবেন ৷ সংবাদজগতের পাশাপাশি রাজনীতিতেও নিজের একটা আলাদা পরিচয় রেখেছেন ৷ তাঁর অকাল প্রয়াণে মর্মাহত ৷ তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা রইল ৷” মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চন্দন মিত্রের আত্মীয় পরিজন ও অনুরাগীদের প্রতি সমবেদনা জানান। উল্লেখ্য, চন্দন মিত্র ২০০৩ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত রাজ্যসভার মনোনীত সদস্য ছিলেন। ২০১০-এর জুনে মধ্যপ্রদেশ থেকে তাঁকে নির্বাচিত করে ফের রাজ্যসভায় পাঠায় বিজেপি। ২০১৬-তে তাঁর সাংসদ পদের মেয়াদ শেষ হয়। প্রথম থেকেই চন্দনবাবু ছিলেন বিজেপির সমর্থক। দলে আডবাণী ঘনিষ্ঠ হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। কিন্তু মোদি জমানায় সেই কদর আর পাননি। তার জেরেই সম্ভবত ২০১৮-তে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন তিনি।