প্রি–কোয়ার্টার ফাইনালে পোল্যান্ডকে ৩–১ গোলে হারিয়ে শেষ আটে জায়গা করে নিল গতবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। ম্যাচের ইনজুরি সময়ে পেনাল্টি থেকে পোল্যান্ডের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন রবার্ট লেওয়নডস্কি। এদিন ২টি গোল করে চলতি বিশ্বকাপে ৫ গোল করে ফেললেন কিলিয়ান এমবাপে। সোনার বুটের লড়াইয়ে অন্যদের থেকে এগিয়ে গেলেন অনেকটা। এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই পোল্যান্ডের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল ফ্রান্স। ৪ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ এসেছিল ফ্রান্সের সামনে। গ্রিজম্যানের কর্নার জালে রাখতে পারেননি ভারানে। ১৩ মিনিটে চৌমেনির শট আটকে দলের নিশ্চিত পতন রোধ করেন পোল্যান্ড গোলকিপার সেজনি। ২৯ মিনিটে সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেন অলিভিয়ের জিরৌড। মাঝমাঠ থেকে বল ধরে ডানদিকে ডেম্বেলেকে দেন গ্রিজম্যান। ডেম্বেলে বক্সের মধ্যে ঢুকে পাস বাড়ান বাঁদিক থেকে উঠে আসা জিরৌডের উদ্দেশ্যে। পোল্যান্ড গোলকিপার সেজনিকে পরাস্ত করে বল চলে যায় জিরৌডের কাছে। সামনে ফাঁকা গোল পেয়েও বলে পা ছোঁয়াতে পারেননি জিরৌড। ৩৫ মিনিটে বাঁদিক থেকে বক্সে ঢুকে বাঁপায়ে দুরন্ত শট নিয়েছিলেন এমবাপে। ডানদিকে ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে বাঁচান সেজনি। ৩ মিনিট পরেই প্রতি আক্রমণে গোলের সুযোগ এসেছিল পোল্যান্ডের সামনে। বাঁপ্রান্ত দিয়ে ঢুকে গোলার মতো শট নিয়েছিলেন জিলেনস্কি। দুরন্ত সেভ করেন ফ্রান্স গোলকিপার হুগো লরিস। একের পর এক আক্রমণ তুলে নিয়ে এসেও পোল্যান্ডের রক্ষণব্যুহে বারবার আটকে যাচ্ছিলেন এমবাপে, ডেম্বেলে, গ্রিজম্যানরা। তিন কাঠির নীচে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছিলেন গোলকিপার সেজনিও। অবশেষে ৪৪ মিনিটে যাবতীয় প্রতিরোধ ভেঙে যায়। এগিয়ে যায় ফ্রান্স। বক্সের মধ্যে জিরৌডকে পাস বাড়িয়েছিলেন এমবাপে। বাঁপায়ের কোনাকুনি শটে গোল করেন জিরৌড। দেশের হয়ে ৫২ গোল করে রেকর্ড গড়লেন তিনি। ভেঙে দেন থিওরি অঁরির সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড। দেখে নিন Highlights –