কলকাতা

ব্রিগেডে কি লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ হল? রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে!

কয়েকদিন ধরেই জোর চর্চা চলছিল কলকাতায় হবে লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ। নানা রঙে সেজে ওঠে ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ড। বড়দিনের আগে আজ, রবিবার কলকাতায় এটাই বড় ইভেন্ট। কিন্তু এখানে প্রধানমন্ত্রী আসার কথা থাকলেও আসেননি। সুতরাং যে লাইমলাইট ছিল এই ইভেন্টের তা অনেকাংশে কমে গিয়েছে। অখিল ভারতীয় সংস্কৃতি পরিষদের উদ্যোগে ব্রিগেডে অনুষ্ঠিত হল ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ’ অনুষ্ঠান। কিন্তু রবিবার ব্রিগেডে লক্ষ মানুষ কি জড়ো হয়েছিলেন?‌ এই প্রশ্ন এখন উঠতে শুরু করেছে। আর তা নিয়ে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে উঠেছে।  এদিকে বিজেপি এই আয়োজনকে সফল বলে দাবি করেছে। লক্ষ মানুষের সমাগম হয়েছে বলে দাবি করেছে। আর তৃণমূল কংগ্রেস পালটা সাফ জানিয়েছে, এই লোক দেখানো অনুষ্ঠানে লোক হয়নি। ব্রিগেডে গীতা পাঠের অনুষ্ঠানে আসেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পার্ক স্ট্রিটে ৩০০০ হাজার পুলিশ। ব্রিগেডে গীতা পাঠের অনুষ্ঠানে কোনও পুলিশ নেই কেন?‌ রাজ্যকে এই ভাষাতেই তোপ দাগেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর গীতাপাঠে উপস্থিত দ্বারকার শঙ্করাচার্য বলেন, ‘‌বাংলায় বিভাজনের ষড়যন্ত্র চলছে। এক হতে হবে।’‌ বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, সাংসদ দিলীপ ঘোষ, লকেট চট্টোপাধ্যায়রা উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, গীতাপাঠের এই অনুষ্ঠান সফল। রাজ্য বিজেপির সভাপতিও বলে দেন, এটার সঙ্গে লোকসভা নির্বাচনের কোনও সম্পর্ক নেই। তৃণমূল কংগ্রেসের কাজ এসব বলা। ওরা দুর্নীতি থেকে মাথা তুলতে পারছে না। গীতাপাঠ নিয়ে আর ভাল কী বলবে। গোটা ব্রিগেডকে ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে মোট ২০টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। উদ্যোক্তাদের কথায়, প্রতিটি ভাগে ৫ হাজার জনের বসার ব্যবস্থা করা হয়। এখন প্রশ্ন, ব্রিগেডে কি লক্ষ মানুষ এসেছিল? জবাবে উদ্যোক্তাদের দাবি, আজ ব্রিগেডে লোক সমাগম প্রচুর হয়েছিল। পাল্টা তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‌লক্ষাধিক নয়, গীতাপাঠে যোগ দিয়েছেন ৩ হাজার ৭৫০ জন। গীতাকে সবাই সম্মান করে। কিন্তু রাজনীতি করছে বিজেপি। ব্রিগেড কেন, শ্রদ্ধানন্দ পার্ক ভাড়া করলেই হয়ে যেত। লোক হবে না, বুঝতে পেরেই আসেননি প্রধানমন্ত্রী।’‌