ঘূর্ণিঝড়ের জেরে তছনছ হয়ে গেছে সুন্দরবন। এই অবস্থায় সাধারণ মানুষের জীবনে একটু সুরাহা করতে, রোজগারের উপায় বাড়াতে পর্যটকদের যাওয়ার অনুমতি দিল রাজ্য সরকার। ১৫ জুন থেকে দক্ষিণ রায়ের ডেরা সুন্দরবনে যেতে পারবেন পর্যটকরা। বুধবার এমনই ছাড়পত্র দিল বনদপ্তর। সেক্ষেত্রে পর্যটক-সহ বোট চালকদের বিশেষ কিছু নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে বলেও জানানো হয়। তবে নিয়ম ও গাইডলাইনের একটা দীর্ঘ তালিকাও উল্লেখ করা হয়েছে সেই সঙ্গে। স্বাস্থ্যবিধির সঙ্গে কোনও রকম ভাবেই আপস করা যাবে না বলে জানানো হয়েছে। নির্দেশিকায় স্পষ্ট লেখা আছে, পর্যটন চালু হওয়ার প্রথম ও প্রধান শর্তই হল সমস্ত নিয়ম মানা। মাস্ক পরা, হাত ধোয়া তো বটেই, সেই সঙ্গে পর্যটকদের জন্যে লঞ্চগুলিও প্রতিদিন স্যানিটাইজ করতে হবে। ১০ বছরের নীচের শিশু ও ৬৫ বছরের বেশি বয়সিদের আপাতত সুন্দরবনে যাওয়ার অনুমতি নেই। সমস্ত ধাপে থার্মাল স্ক্রিনিং করিয়ে তবে ওঠা যাবে বোটে। তবে নিয়ম অনুযায়ী ২ সিলিন্ডার বোটে ১২ জন ও ৩ সিলিন্ডার বোটে ১৮ জনের বেশি চড়তে পারবেন না। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতেই হবে। কেন্দ্র শর্তসাপেক্ষে লকডাউন জারি করেছে ৩০ জুন পর্যন্ত। পাশাপাশি শুরু হয়েছে আনলক ফেজ ১-ও। সেই সমস্ত নিয়ম মেনেই ভাবনাচিন্তা করে খোলা হল পর্যটনের দ্বার। বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এ বিষয়ে বলেন, ‘সাধারণ মানুষের অবস্থা খুবই খারাপ। পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত মানুষরা বড় ক্ষতির মুখে পৌঁছেছিলেন। সেই জন্যই শর্ত সাপেক্ষে চালু হল সুন্দরবন পর্যটন। কোভিডের সমস্ত নিয়ম মেনে এবং কেন্দ্রের গাইডলাইন মেনেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে নিয়ম মানতেই হবে, তাতে কোনও আপস করা যাবে না।’