দেশ

মুম্বাই পুলিশের হানায় গুজরাত থেকে ফের উদ্ধার ১ হাজার ২৬ কোটি টাকার মাদক

ফের গুজরাট থেকে উদ্ধার করা হল বিপুল পরিমাণ মাদক। আন্তর্জাতিক বাজারে যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ১,০২৬ কোটি টাকা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গুজরাটের অঙ্কলেশ্বরের একটি মেফেড্রোন উৎপাদনকারী ইউনিটে অভিযান চালায় মুম্বাই পুলিশের মাদকবিরোধী সেল। সেখান থেকে প্রায় ৫১৩ কেজি নিষিদ্ধ পদার্থ বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ১,০২৬ কোটি টাকা। গুজরাট কি তাহলে সত্যিই দেশের ‘গেটওয়ে অব ড্রাগস’ হয়ে উঠছে? এই প্রশ্ন ক্রমশই এবার মাথাচাড়া দিচ্ছে সাধারণ মানুষের মনে। গ্রেফতার করা হয়েছে বেআইনি মাদক কারখানার মালিক গিরিরাজ দীক্ষিতকেও। যিনি শিক্ষাগত যোগ্যতায় রসায়নে স্নাতকোত্তর। সংবাদ সংস্থা পিটিআই একথা জানিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, গিরিরাজ এবং আরও এক সহ-অভিযুক্ত মিলে নানারকম পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে নিখুঁতভাবে মেফেড্রোন তৈরীর সূত্রটি বানিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (এএনসি) দত্ত নালাওয়াদে জানান, সাম্প্রতিককালের মধ্যে শহরে এটিই সবচেয়ে বড় মাদক উদ্ধার ছিল পুলিশের। মুম্বাই পুলিশ সূত্রের খবর, চলতি মাসের শুরুতেই মুম্বাই শহর থেকে কিছু দূরে অবস্থিত নালাসোপারা শহর থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল ৭০০ কেজির ড্রাগ। আন্তর্জাতিক বাজারে যার আনুমানিক মূল্য ছিল ১৪০০ কোটি টাকা। অভিযান চলাকালীন পুলিশ ২,৪৩৫ কোটি টাকার ১,২১৮ কেজি মাদক বাজেয়াপ্ত করেছিল। তারপরেই ফের মার্চ মাসে ২৫০ গ্রাম মাদক উদ্ধার করেছিল মুম্বাই পুলিশ। এবং এই মামলায় ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়।ধৃতরা হলেন – শামসুল্লা ওবেদুল্লাহ খান (৩৮), আইয়ুব ইজহার আহমেদ শেখ (৩৩), রেশমা সঞ্জয়কুমার চন্দন (৪৯), রিয়াজ আবদুল সাত্তার মেনন (৪৩), প্রেম প্রকাশ পরশনাথ সিং (৫২) এবং কিরণ পাওয়ার।প্রসঙ্গত, মেফেড্রোন ড্রাগটি এমডি নামেও পরিচিত। এটি একটি সিন্থেটিক সাইকোট্রপিক উদ্দীপক। যা মাদকদ্রব্য ও সাইকোট্রপিক পদার্থ আইনের অধীনে নিষিদ্ধ। উল্লেখ্য, গতবছর থেকে দু’দফায় গুজরাটের মুন্দ্রায় আদানি গোষ্ঠী পরিচালিত বন্দর থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল ২৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি মূল্যের মাদক। তা উদ্ধার করেছিল কেন্দ্রীয় রাজস্ব গোয়েন্দা বাহিনী। লবনের আমদানির আড়ালে চলত এই মাদকের কারবার। এমনকি গুজরাটের কাণ্ডালা বন্দর থেকেও উদ্ধার করা হয়েছিল বিপুল পরিমাণ মাদক।