প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাজ্য গুজরাত৷ আর সেই রাজ্যই পেয়েছে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের সবচেয়ে বেশি অর্থ সহায়তা৷ আরটিআইয়ের উত্তরে উঠে এসেছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য৷ ন্যাশনাল হেলথ অথরিটি (এনএইচএ) গুজরাতকে আয়ুষ্মান ভারত অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রীর জন স্বাস্থ্য যোজনার আওতায় বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের জন্য অনুদান-সহায়তা হিসাবে সর্বাধিক তহবিল বরাদ্দ করেছে৷ পুনে-ভিত্তিক সমাজকর্মী প্রফুল সারদা এবি-পিএমজেএওয়াই সহ সামগ্রিক স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দকৃত বাজেটের বিশদ জানতে চেয়ে তথ্য জানার অধিকার আইনে দরখাস্ত করেছিলেন। এতে এনএইচএ-র জবাব ছিল চমকপ্রদ৷ চলতি বছরে ২০২১-২০২২ এ গুজরাতকেই কেন্দ্র ৩৩০.৫৫ কোটি টাকা অনুদান সহায়তা করেছে যা মোট অনুদানের সিংহভাগ৷ তালিকায় পরবর্তী স্থান পেয়েছে কেরল৷ দক্ষিণের রাজ্যটি পেয়েছে ১২৮.৬২ কোটি টাকা৷ মহারাষ্ট্র ১১৭.৪৩ কোটি, অন্ধ্রপ্রদেশ ১১০.৯৫ কোটি এবং মধ্যপ্রদেশ ১০৪.৭৯ কোটি টাকা পেয়েছে অনুদান সহায়তা হিসেবে। ঝাড়খণ্ড, মণিপুর, ত্রিপুরা, নাগাল্যান্ড, মিজোরাম, চণ্ডীগড় ও মেঘালয় – এই সাতটি রাজ্যকে ১০ কোটি টাকারও কম জিআইএ দেওয়া হয়েছে৷ আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, দাদরা ও নগর হাভেলি এবং পুদুচেরি এক কোটি টাকারও কম পেয়েছে৷ অন্যদিকে অরুণাচল প্রদেশ, বিহার, ছত্তিশগড়, দমন ও দিউ, গোয়া, কর্ণাটক, লাদাখ, লাক্ষাদ্বীপ, রাজস্থান, সিকিম এবং তামিলনাড়ু একটি টাকাও পায়নি জিআইএ-র অধীনে৷
এ ব্যাপারে সমাজকর্মী সারদা বলেন, কোভিড-১৯ সংক্রমণের আবহে মানুষের জীবন বাঁচাতে বিপুল অর্থের প্রয়োজন হয়েছিল গত বছর থেকেই৷ বিশেষত মহারাষ্ট্র ও কেরলের মতো সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্যগুলিতে আর্থিক সহায়তার দরকার ছিল বেশি৷ তবে কেন্দ্র কেবল গুজরাতের দিকেই মনোনিবেশ করেছে৷ অন্যান্য রাজ্যগুলি বারবার এ নিয়ে সরব হয়েছে৷ আর্থিক অনুদান, টিকার দাবিতে সোচ্চার হলেও কেন্দ্রের মোদি সরকার কোনও কর্ণপাত করেনি৷ বরঞ্চ দেশের জনগণকে নিজেদেরই কোভিডের বিরুদ্ধে লড়তে হবে বলে মোদি মন্তব্য করেছিলেন৷ এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর নিজের রাজ্যে এত বিপুল পরিমাণ কেন্দ্রীয় অনুদান বরাদ্দ হল কীভাবে, উঠছে প্রশ্ন৷