ডোপিং বিধি লঙ্ঘনের দায়ে ২১ মাসের জন্য নির্বাসিত করা হল ভারতীয় জিমন্যাস্ট দীপা কর্মকারকে। ডোপিং টেস্টে তাঁর শরীরে হাইজেনামাইন নামে এক ধরণের নিষিদ্ধ পদার্থ পাওয়া গিয়েছে বলে অভিযোগ। যদিও এই নির্বাসনের মেয়াদ ২০২১ সালের ১১ অক্টোবর থেকে ধরা হয়েছে। তাই এই বছরের ১০ জুলাইতেই শেষ হচ্ছে দীপার নির্বাসন। আন্তর্জাতিক টেস্টিং এজেন্সি পক্ষ থেকে ভারতের এই জিমন্যাস্টকে বহিষ্কারের ঘোষণা করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ পদার্থ সেবনের অভিযোগ রয়েছে। তাঁর সাসপেনশনের খবর আন্তর্জাতিক জিমন্যাস্টিক ফেডারেশনকে জানিয়েছে ITA। ২০২১ সালের ১১ অক্টোবর তাঁর স্যাম্পল সংগ্রহ করা হয়। তারপর থেকে তিনি জিমন্যাস্টিকের বাইরে ছিলেন। অবশেষে তাঁর বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করা হল। তাঁর এই ব্য়ানটা বহাল থাকলে চলতি বছরের ১০ জুলাই পর্যন্ত। কারণ তদন্তের জন্য তিনি এতদিন খেলতে পারেননি। সেটাকে শাস্তি হিসেবে দেখা হবে। দীপার শরীরে হিজেনামিনের নমুনা পাওয়া গিয়েছে। যা আসলে বিটা ২-এর অধীনে পড়ে। এটি জিমন্যাস্টিকের জন্য ব্যানড। প্রতিযোগিতার মধ্যে হোক বা প্রতিযোগিতার বাইরে, কোনওভাবেই এটি নেওয়া যায় না। ITA-র পক্ষ থেকে বলা হয়, “দীপা কর্মকারকে ২১ মাসের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে। যা চলবে ২০২৩ সালের ১০ জুলাই পর্যন্ত। FIG-র অ্যান্টি ডোপিং রুলসের ১০.৮.২ ধারা অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” হিজেনামিন নেওয়ার ফলে মানুষের দৈনন্দিন কাজের ক্ষমতা বেড়ে যায়, পাশাপাশি হৃদযন্ত্রের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। জিমন্যাস্টরা এই নিষিদ্ধ পদার্থ নিলে তাদের পারফরম্যান্সে প্রভাব পড়বে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সি বিশ্ব অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সিকে ২০১৭ সালে এটিকে নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব দেয়। এরপর সেই বছরি নিষিদ্ধ করা হয় হিজেনামিনকে।