সমকামী সম্পর্কে বাধা পেয়েই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুরের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী! ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকা জুড়ে। সম্প্রতি ঘর থেকে ওই কিশোরীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সেই ঘটনায় এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে পুলিশের তদন্তে। ঘটনার কথা স্বীকার করেছে মৃত ছাত্রীর বান্ধবী। সম্প্রতি ঘর থেকে ওই ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। মৃত ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ ছিল যে, ঘনিষ্ঠ এক বান্ধবীর বাবার হুমকির মুখে পড়েই মানসিক অবসাদে আত্মঘাতী হয়েছে ওই কিশোরী। ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর একটি মামলাও রুজু হয় পুলিশে। ঘটনার ক’দিন কাটতে না কাটতেই সামনে উঠে এল নতুন তথ্য। মৃত ছাত্রীর ঘনিষ্ঠ বান্ধবী স্বীকার করে নিয়েছে যে, তার সঙ্গে ওই কিশোরীর সমকামিতার সম্পর্ক ছিল। তারা দু’জনে একই স্কুলে দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ত। সেখান থেকেই দু’জনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা হয়। দু’জনই একে অপরকে ছেড়ে থাকতে পারত না। বান্ধবীর আরও দাবি, তাদের দু’জনের সম্পর্কের কথা জেনে গিয়েছিল দুই পরিবার। বহুবার দু’জনকে আলাদা করার চেষ্টাও করা হয়। এদিকে, বান্ধবীকে কাছে না পেয়ে মানসিক অবসাদে ভুগছিল ওই কিশোরী। শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় সে। যদিও এই সমকামী সম্পর্কের কথা স্বীকার করে নিয়েছে ঘনিষ্ঠ বান্ধবীর বাবাও। তাঁর কথায়, ‘আমার মেয়ের সঙ্গে ওই কিশোরীর ভালোবাসার সম্পর্ক ছিল। তারা একসঙ্গে থাকত। বিভিন্ন সময় তাদের আপত্তিকর অবস্থায় দেখা গিয়েছে। এই সম্পর্ক কোনও সময় হতে পারে না। তাই আমার মেয়েকে ওই কিশোরীর সঙ্গে আলাদা করে রাখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ওই কিশোরী কেন আত্মহত্যা করল, তা আমি বলতে পারব না। পুলিশ গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখুক।’