অবশেষে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের শেষে প্রকাশিত ফলাফল অনুসারে তাদের আশঙ্কাই সত্যি হল । রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ক্রস ভোটিংয়ের অভিযোগ ঘিরে সরগরম জাতীয় রাজনীতি। দেশের রাষ্ট্রপতি হিসাবে দলের অবস্থানের বিপরীত মেরুতে হেঁটে বিরোধী শিবিরের অনেক সাংসদ-বিধায়কই এনডিএ-র দ্রৌপদী মুর্মুকে ভোট দিয়েছেন। সূত্রে দাবি, বিভিন্ন বিধানসভার প্রায় ১২৫ জন বিধায়ক দ্রৌপদীর সমর্থনে ভোট দিয়েছেন। ভোটের গণনার গতিপ্রকৃতি দেখে বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, ১৭ জন সাংসদের ক্রস ভোটিংয়ে লাভবান হয়েছেন দ্রৌপদী। জানা গিয়েছে, অসম, ঝাড়খণ্ড, মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় বিরোধী শিবিরের একাধিক বিধায়ক নিজেদের দলের অবস্থানের বিরুদ্ধে গিয়েই দ্রৌপদীকে ভোট গিয়েছেন। সূত্রের দাবি, অসমের প্রায় ২২ বিধায়ক, মধ্যপ্রদেশের ২০ জন, বিহার ও ছত্তীসগঢ়ের ছয় বিরোধী বিধায়ক, গোয়ার চার ও গুজরাতের ১০ বিধায়ক ক্রস ভোট দিয়ে থাকতে পারেন। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গে, রাজ্যের বিধানসভা থেকে এনডিএ প্রার্থী পেয়েছেন একাত্তরটি ভোট । বিজেপির তরফ থেকে ৬৯ জন বিধায়ককে আলাদা করে হোটেলে রেখে নির্দিষ্ট প্রশিক্ষণ দিয়ে ভোট করানো হয়েছিল । বিজেপি বিধায়ক পবন সিংহ ওই দলের বাইরে ছিলেন । কিন্তু ভোটের দিন তিনি বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে মিলে ভোট দেন ৷ যদি তাঁর ভোট দ্রৌপদী মর্মু পেয়ে থাকেন তাহলেও এই সংখ্যাটা ৭০ । যেহেতু বিজেপি প্রার্থী এ রাজ্যের বিধানসভা থেকে ৭১টি ভোট পেয়েছেন, তার মানে এমন কেউ আছেন যিনি তৃণমূলে থেকেও দ্রৌপদী মুর্মুকে ভোট দিয়েছেন। এখনও পর্যন্ত যা জানা গিয়েছে তাতে এই রাজ্য থেকে চার বিধায়কের ভোট বাতিল হয়েছে। অনুমান করা হচ্ছে, এই চারটি ভোট এ রাজ্যের শাসক শিবিরের । যদি এমনটি না হয় তাহলে দ্রৌপদী মুর্মুকে ভোট দেওয়া বিধায়কের সংখ্যা আরও বেড়ে যাবে ।