কলকাতা

ভ্রাম্যমাণ রাজভবন! ভোটের দিন লোকসভা ভোটে হিংসা রুখতে ভোর ৬টা থেকেই রাস্তায় থাকবেন রাজ্যপাল

লোকসভা ভোটে হিংসা রুখতে পথে নামতে চলেছেন রাজ্যপাল । ভ্রাম্যমাণ রাজভবন হিসেবে রাস্তায় ঘুরবেন তিনি। শনিবার নির্বাচনী নির্ঘণ্ট ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা আগে নিজের পরিকল্পনার কথা জানলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। তিনি বলেন, “ভোটের প্রথম দিন থেকে রাস্তায় থাকব। লোকসভার ভোটের প্রতিটি পর্বে সবাই ঘুম থেকে ওঠার আগে, সকাল ৬টা থেকে আমি রাস্তায় থাকব। মানুষের কাছে উপলব্ধ থাকব।”একইসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “আমার দুটোই প্রায়োরিটি। হিংসা এবং দুর্নীতি বন্ধ করা। আমি জন রাজভবন বা ভ্রাম্যমাণ রাজভবন হিসেবে রাস্তায় ঘুরব। পঞ্চায়েতের আগেও বলেছি, আবারও বলছি, মানুষের রক্ত নিয়ে রাজনীতির হোলি খেলা যাবে না।” এর পাশাপাশি এদিন তিনি জল দর্শন নিয়ে বলেন, “জলের মধ্যে দিয়ে যেতে যেতে সবকিছু দেখা, সবকিছু বোঝা। আমার এই ধরনের সফর চলবে। এবার থেকে আমার বাংলা সফর এবং বাংলাকে আরও ভালো করে জানার মাধ্যম হবে এই জল দর্শন। সিভিল সার্ভেন্টদের বলব, অফিসে বসে থাকবেন না। এলাকায় যান। আপনারা সিভিলের সার্ভেন্ট। বাংলাকে নতুনভাবে পরিচালনা করুন।”শনিবার সকালে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস হাওড়ার একটি বেসরকারি স্কুলে সারপ্রাইজ ভিজিটও দেন। উদ্দেশ্য বাংলাকে নতুনভাবে চেনা। স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন তিনি লঞ্চে চেপে প্রথমে রামকৃষ্ণপুর ঘাটে আসেন। এরপর টোটো চেপে স্কুলে পৌঁছান। স্কুল ঘুরে দেখেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। বিভিন্ন ক্লাসে যান। সেখানে কীভাবে পড়াশোনা চলছে, তা দেখার পাশাপাশি পড়ুয়াদের আর কী কী অ্যাকটিভিটি আছে তা তিনি ঘুরে দেখেন। ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন। স্কুলে মেয়েদের নিজেদের নিরাপত্তার জন্য মার্শাল আর্টের প্রশিক্ষণ খুবই জরুরি। সেই বিষয়ে জোর দেওয়ার কথাও বলেন রাজ্যপাল। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলেন, বাংলার ছাত্রছাত্রীরা দেশ ও পৃথিবীর সেরা। এরাই দেশের ভবিষ্যৎ নাগরিক। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের রাজভবনে যাওয়ার জন্য আমন্ত্রণও জানান রাজ্যপাল।