জেলা

নন্দীগ্রামে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে মারধর এবং বাড়ি ভাঙচুরের করার অভিযোগে গ্রেফতার বিজেপি নেতা সহ ৫

বিজেপির বিধানসভা কেন্দ্র নন্দীগ্রামে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে মারধর করার অভিযোগ উঠল বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে। এছাড়া তৃণমূল কর্মীর বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিজেপির লোকজনের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দীগ্রাম- ২ ব্লকের বয়াল দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের রামচক গ্রামে। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত বিজেপি নেতা সুনীল পাত্র ও তার সাগরেদ সহ মোট পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ। বিজেপি তরফ থেকে রাজ্যে নারী নিরাপত্তা নিয়ে বারংবার প্রশ্ন তোলা হয়। কিন্তু সেই বিজেপি শাসিত নন্দীগ্রাম তথা শুভেন্দু অধিকারীর বিধানসভা কেন্দ্রে একেবারে নারী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন। জানা গেছে, রামচক গ্রামের বাসিন্দা তথা তৃণমূল কর্মী বিশ্বজিৎ পাত্রের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় বিজেপি নেতা সুনীল পাত্রের সমস্যা চলছে। সোমবার রাত থেকেই বিশ্বজিতের বাড়িতে বারবার সুনীল পাত্র হুমকি দিচ্ছিল বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার সকালে দলবল নিয়ে সুনীল পাত্র বিজেপি কর্মী বিশ্বজিৎ পাত্রের বাড়িতে গিয়ে চড়াও হন। ইতিমধ্যে মারধরের ঘটনার ভিডিও সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে হাতে বাঁশ নিয়ে তৃণমূল কর্মী বিশ্বজিৎ এর বাড়ি ভাঙচুর করছে বিজেপির দুষ্কৃতীরা। সেই সময় বিশ্বজিতের মেয়ে ও জামাই বাধা দিতে গেলে তাকে ঘরের মধ্যে আটকে দেওয়া হয়। পাশাপাশি ওই সময় বিশ্বজিৎ পাত্রের অন্তঃসত্ত্বা পুত্রবধূ বাধা দিতে গেলে তাকেও মারধর করা হয়। অন্তঃসত্ত্বা বধুকে এভাবে মারধরের ঘটনায় বিজেপির ওপর নিন্দার ঝড় নেমে এসেছে সামাজ মহলে। পরে তাকে নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিকে রুখে দাঁড়ান বিশ্বজিতের স্ত্রী অলকা পাত্র। তিনি নন্দীগ্রাম থানায় গিয়ে অভিযুক্ত বিজেপি নেতা সুনীল পাত্রসহ তার সাগরেদদের নামে অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তৎক্ষণাৎ তদন্তে নেমে পুলিশ সুনীল পাত্র সহ মোট পাঁচজনকে গ্রেফতার করে। ওই এলাকার বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যের নারী নিরাপত্তা নিয়ে বারবার রাজ্যের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তোলেন। এবার তারই বিধানসভা কেন্দ্রে নারী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠল তারই দলের নেতার বিরুদ্ধে।