দেশ

হায়দরাবাদে প্রকাশ্য রাস্তায় বোনের স্বামীকে নৃশংস ভাবে খুন যুবকের

পরিবারের অসম্মতিতে বিয়ে করেছিলেন এক তরুণী ৷ এই বিয়ে মেনে নিতে না পেরে বাড়ির মেয়ের চোখের সামনে হায়দরাবাদ প্রকাশ্য রাস্তায় তাঁর স্বামীকে নৃশংস ভাবে কুপিয়ে খুন করল মেয়েটির পরিবারের লোকজন। বুধবার রাত ৯টা নাগাদ হায়দরাবাদের সরুর নগর থানা এলাকার জিএইচএমসি অফিস রোডে ঘটে এই ভয়াবহ ঘটনা ৷ রঙ্গারেড্ডি জেলার মারপল্লি গ্রামের বাসিন্দা ভিল্লুপুরম নাগরাজ ও সৈয়দ আসরিন সুলতানার প্রেম দীর্ঘ সাত বছরের ৷ এই সম্পর্কের কথা জানার পর থেকেই নাগরাজকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল সুলতানার পরিবার ৷ তাঁকে এই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে যেতে বলা হয়েছিল ৷ তবে তাতে রাজি ছিলেন না নাগরাজ ৷ কয়েক মাস আগে একটি গাড়ির কোম্পানিতে চাকরি পান নাগরাজ ৷ গত ১ জানুয়ারি তিনি গোপনে সুলতানার সঙ্গে দেখা করেন ৷ সেই দিনই তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন যে, তাঁরা বিয়ে করবেন ৷ পরিকল্পনা মতো জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে বাড়ি থেকে পালিয়ে হায়দরাবাদ চলে যান সুলতানা ৷ ৩১ জানুয়ারি লাল দরওয়াজার আর্য সমাজে তাঁরা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ৷ বিয়ের পর অন্য একটি চাকরি নেন নাগরাজ ৷ কিন্তু তাঁরা যে হাদরাবাদে আছেন, সে কথা পরিবার জেনে গিয়েছে এটা জানতে পেরে মাস দুই আগে ভাইজাগ চলে যান নবদম্পতি ৷ সেখানে কিছুদিন কাটানোর পর তাঁরা ভেবেছিলেন যে, আর তাঁদের কেউ ধাওয়া করবে না ৷ পাঁচ দিন আগে তাঁরা সেখান থেকে ফিরে এসে সরুর নগরে থাকা শুরু করেন ৷ তবে সুলতানার পরিবারের রাগ তখনও কমেনি ৷ তারা বিষয়টি জানতে পেরে নাগরাজকে খুন করার ষড়যন্ত্র করে ৷ বুধবার রাতে এই দম্পতি তাঁদের বাড়ির বাইরে বেরোলে বাইকে তাঁদের ধাওয়া করে সুলতানার ভাই ও তার বন্ধু ৷ এরপর তারা সুলতানা ও নাগরাজের উপর হামলা চালায় ৷ লোহার রড ও তরোয়াল দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে নৃশংস ভাবে খুন করা হয় নাগরাজকে ৷ ভাই তাঁর স্বামীকে এ ভাবে মারছে দেখে শোকে ভেঙে পড়েন সুলতানা ৷ চোখের সামনে স্বামীর মাথায় রড দিয়ে আঘাত করছে ভাই, আর রক্তে ভেসে যাচ্ছে নাগরাজের শরীর ৷ হাতে পায়ে ধরেও ভাইকে আটকাতে পারেননি সুলতানা ৷ চোখের জলে তিনি বলেন, “আমাদের বিয়েটা পরিবার মানেনি ৷ কিন্তু কখনও ভাবতে পারিনি যে আমার পরিবার আমার স্বামীকে মেরে ফেলবে ৷ আমি ওকে বাঁচাতে পারলাম না ৷” স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে সঙ্গে সঙ্গে বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে ৷