এদিন মেদিনীপুরের কলেজ মাঠের সভা থেকে একযোগে সিপিআইএম, কংগ্রেস, বিজেপির উদ্দেশে আক্রমণ শানালেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তোপ দাগেন, “সিপিআইএম, কংগ্রেস, বিজেপি ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছ। বাংলায় জোট বেঁধেছে ওরা। যৌথভাবে সরকার, দল, বাড়ি ভাঙছে। টাকা ছড়াচ্ছ। কুৎসা করছে। অপপ্রচার করছে। কিন্তু তোমরা ভুলে যাচ্ছ যে তোমাদের উৎখাত হওয়ার সময় হয়ে এসে গিয়েছে।” কটাক্ষ করেন, “সিপিআইএম-বিজেপি-কংগ্রেস এখন তিন ভাই। একজন রক্ষা করছে। আরেকজন ভক্ষণ করছে। আরেকজন তক্ষক। রক্ষক-ভক্ষক-তক্ষক। আমি বলি কঙ্কা-বঙ্কা-শঙ্কা।” মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বহিরাগতদের দিয়ে বাংলা দখল করতে দেব না।’কোনও ‘বহিরাগত’ বা ‘গুন্ডা’ দিয়ে বাংলার ক্ষমতা দখল করা যাবে না বলে মেদিনীপুরের সভা থেকে হুঁশিয়ারি দেন মমতা। একইসঙ্গে বিজেপি সাম্প্রদায়িকতার বীজ বুনছে অভিযোগ করে হুঁশিয়ারি দেন, “বাংলাকে কিছুতেই গুজরাত বানাতে দেব না।” পাশাপাশি নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীর উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী বললেন, ‘যদি কেউ মনে
করেন তৃণমূলকে ব্ল্যাকমেল করব, বার্গেন করব, ভোটের সময় দলকে বিপদে ফেলব, জেনে রাখুন কিছু করতে পারবেন না।’ তবে তাঁর জন্য দলের পথ খোলাও রেখে দিলেন। তিনি বললেন, ‘অধিকারী–ব্যানার্জি সকলকেই নিয়েই সংসার।’ এদিনের সভায় দাঁড়িয়ে আগামী কালের বনধেও সমর্থন জানালেন মমতা। বললেন, ‘আমরা কৃষকদের পাশে ছিলাম, আছি, থাকব। আমি সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম, নেতাই ভুলিনি, বললেন মমতা। আগামীকালের বনধে সমর্থন জানাচ্ছি।’ তবে নীতিগতভাবে যে তিনি এবং তাঁর দল বনধের বিরুদ্ধে, সেকথাও মনে করিয়ে দিলেন। মঙ্গলবার ব্লকে ব্লকে ধরনা কর্মসূচি চালাবে তৃণমূল। আত্মবিশ্বাসী তৃণমূল নেত্রীর এদিন স্পষ্ট ঘোষণা, “২০২১ আমাদের।” নির্বাচনী প্রচারের সুর বেঁধে দিয়ে এদিন স্লোগানও তুললেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। বলেন, “জনগণ আছে সঙ্গে, তাই একুশে তৃণমূল কংগ্রেস আসছে বঙ্গে।”
