সোমবার ২১ বছরের এক ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছিল আইআইটি গুয়াহাটি ক্যাম্পাসে। তার পর থেকেই উত্তাল সেই প্রতিষ্ঠান। গত তিন ধরেই সেখানে পঠনপাঠন বন্ধ। পড়ুয়াদের দাবি, তাঁদের সহপাঠী মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত ছিলেন। তা ছাড়া ওঁকে এফএ অর্থাৎ ফেলড অ্যাটেন্ড্যান্স দেওয়া হয়েছিল, সেটা নিয়েও উনি ভয় পেতেন যে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হবে না।ফলে প্রবল চাপে তিনি হয়তো নিজেকে শেষ করার পথ বেছে নিয়েছেন। অথচ কর্তৃপক্ষের কোনও হেলদোল নেই। ছাত্রছাত্রীদের লাগাতার আন্দোলনে বুধবার ডিন পদত্যাগ করেন। তবে আইআইটি কর্তৃপক্ষ তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। পরে একটি বিবৃতিতে এ কথা প্রতিষ্ঠানের তরফে জানানো হয়েছে। এর পাশপাশি, ওই প্রতিষ্ঠান সাংবাদিকদের ক্যাম্পাসে ঢুকে খবর সংগ্রহ করায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন।সেখানকার অধিকর্তা বলেন, ‘আপনারা বিষয়টা বুঝুন। এখন স্পট থেকে রিপোর্ট করলে অনেক সমস্যা হতে পারে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত। খুব তাড়াতাড়ি আপনাদের সঙ্গে আলোচনায় বসব।’ এই নিয়ে অবশ্য সংবাদমাধ্যম সরব হয়েছে। খবর চাপার জন্য এমন কণ্ঠরোধ বলে তাদের দাবি। ওই পড়ুয়ার বন্ধুদের দাবি, তাঁদের প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষায় বসতে গেলে ৭৫ শতাংশ ক্লাস অ্যাটেন্ড্যান্স বাধ্যতামূলক। সেটা অনেক সময়েই পড়ার চাপে হয়ে ওঠে না। তাঁদের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষকে একাধিক বার হাজিরা নিয়ে জানানো সত্ত্বেও ওই ছাত্রের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে তাঁরা কোনও ব্যবস্থাই নেননি। অনেক ছাত্রেরই দাবি, এই প্রতিষ্ঠান নম্বর, গ্রেড আর প্লেসমেন্ট ছাড়া কিছু বোঝে না। ফলে অনেক স্বপ্নেরই অপমৃত্যু ঘটে। সূত্রের খবর, এ বছর ওই প্রতিষ্ঠানে এখনও পর্যন্ত চারটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তার সঙ্গে হাজিরার সম্পর্ক কতটা তা দেখছেন কর্তৃপক্ষ। হয়তো তা বদল করা হতে পারে।