জেলা

এবার সাতসকালে সাগরদিঘির তৃণমূল বিধায়ক বাইরন বিশ্বাসের বাড়ি, নার্সিংহোম ও কারখানায় আয়কর হানা

সাগরদিঘি উপনির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস। জয়ের পরই যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলে। বুধবার সাতসকালে সাগরদিগির সেই বিধায়ক বাইরনের বাড়ি সহ তাঁর একাধিক ঠিকানায় হানা দিল আয়কর দফতর। তবে বাইরন বিশ্বাস একজন বিধায়কই নন, বড় শিল্পোদ্যোগীও বটে। মুর্শিদাবাদের প্রসিদ্ধ বিড়ি শিল্পোদ্যোগী বাবর আলি বিশ্বাসের বড় ছেলে বাইরন বিশ্বাস। জানা গেছে, বুধবার সকালে সামসেরগঞ্জে বাইরনের বাড়ি, গোডাউন ও তাঁর হাসপাতালে হানা দেয় আয়কর দফতরের কর্মীরা। ঘিরে ফেলা হয় তাঁর বাড়ি। তার পরই শুরু হয় তল্লাশি। মনে করা হচ্ছে আয়-ব্যয়ের হিসেব সংক্রান্ত কোনও গোলমালের কারণেই বাইরনের বাড়িতে হানা দিয়েছে আয়কর দফতর। মসেরগঞ্জের বাড়িটি বাইরনের বাবার নামে হলেও বাইরনে ওই বাড়িতেই থাকেন। বর্তমানে তিনি বাড়িতে আছেন।একাধিক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বাইরন। তাদের পারিবারিক ব্যবসা বিড়ি। সামসেরগঞ্জের যে বাড়িতে আয়কর হানা দিয়েছে সেখানেও রয়েছে বিড়ির গোডাউন। এছাড়াও তার চায়ের ব্যবসা রয়েছে। স্কুল ও হাসপাতাল রয়েছে বাইরনদের। রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হলেও মূলত ব্যবসাই তাঁর প্রধান পেশা। আয়করের মোট ৩টি টিম তল্লাশির কাজ চালাচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। বাইরনের বাড়িতে একটি টিম রয়েছে, তাদের গোডাউনে একটি টিম রয়েছে, তাঁর হাসপাতালেও একটি টিম গিয়েছে। সবকটি ঠিকানাই কাছাকাছি। বাইরান বিশ্বাসের আয়কর যিনি দেখাশোনা করেন সেই ব্যক্তিকে তলব করেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এদিন। বিড়ি কারখানা, স্কুল ও কেমিক্যাল কারখানার বাইরে থেকে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি এবং কাউকে বাইরে বের হতেও দেওয়া হয়নি। বুধবার বিকেলের দিকে একটি কালো সুটকেসের মধ্যে বেশকিছু কাগজপত্র নিয়ে আয়কর দফতরের এক কর্তা বেরিয়ে যান। তবে এই ব্যাপারে তার বাবা বাবর আলি বিশ্বাস বলেন, ‘‘ওঁরা আমাদের সঙ্গে ভাল ব্যবহার করছেন।’’ এর পরেই কঁদতে শুরু করেন তিনি৷ বলেন, ‘‘আমার স্কুল ও হাসপাতালে অনেক গরিব মানুষ সহযোগিতা পায়। ওঁরা সমস্ত কাগজপত্র খতিয়ে দেখছেন। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার কি না, তা এখনই বলতে পারছি না।’’সমশেরগঞ্জ ব্লক কংগ্রেস সভাপতি মহম্মদ ইমাম  শেখ বলেন, ‘‘বাইরন বিশ্বাস অত্যন্ত বিত্তশালী ব্যক্তি। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণেই তাঁকে হয়রানি করার জন্যই এই আয়কর দফতরের হানা।’’