কলকাতা

ভোটের মুখে ফের সক্রিয় কেন্দ্রীয় সংস্থার, অভিষেকের হেলিকপ্টার থামিয়ে আয়কর তল্লাশি, মিলল না কিছুই

ভোটের মুখে ফের ফের সক্রিয় কেন্দ্রীয় সংস্থা। হেলিকপ্টারের ট্রায়াল রান চলাকালীন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কপ্টার থামিয়ে তল্লাশি চালালেন আয়কর দপ্তরের আধিকারিকরা। বেহালার ফ্লাইং ক্লাবে ট্রায়াল রানের সময় আচমকাই তা থামিয়ে আয়কর দপ্তরের আধিকারিকরা তল্লাশি চালান বলে অভিযোগ। অভিষেকের নিরাপত্তা রক্ষীদের সঙ্গেও বাকবিতন্ডা হয় কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকদের। এনিয়ে সোশাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, কপ্টারে কিছু পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি তাঁর অভিযোগ, এনআইএ-র ডিজি ও এসপি-কে বদলের যে দাবি ছিল তৃণমূলের, তার পালটা হিসেবে তাঁর কপ্টার তল্লাশিতে কাজে লাগানো হচ্ছে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে। পয়লা বৈশাখের বিকেলে আয়কর দপ্তরের এহেন কাণ্ডে স্বভাবতই তোলপাড় পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। কেন্দ্রীয় এজেন্সির এহেন অতিসক্রিয়তার বিরুদ্ধে বিজেপি বিরোধী তোপ দেগেছেন তৃণমূল।আগামীকাল নির্বাচনী প্রচারে পূর্ব মেদিনীপুর যাওয়ার কথা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তমলুকে দলীয় প্রার্থীর হয়ে তাঁর প্রচার করার কথা। সেই কারণেই রবিবার কপ্টারের ট্রায়াল রান চলছিল। তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের অভিযোগ, অভিষেকের সেই  কপ্টার থামিয়ে আয়কর দপ্তরের আধিকারিকরা কপ্টারে ওঠেন। প্রতি ব্যাগ খুলে খুলে তন্নতন্ন করে তল্লাশি চালান। কিন্তু কিছুই পাওয়া যায়নি। এই সময়ে অভিষেকের নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে বাকবিতন্ডা হয়। তাঁরা কোনও প্রশ্ন করলে বলা হয়েছে, কপ্টার আটকে রাখা হবে, দেরি করানো হবে। দীর্ঘক্ষণ ধরে কপ্টারটি উড়তে দেওয়া হয়নি।  কিন্তু কিছু না পেয়ে অবশেষে কপ্টার ছাড়া হয়। আয়কর আধিকারিকদের ‘হাল্লা রাজার সেনা’র সঙ্গে তুলনা কুণাল ঘোষ। তাঁর আরও দাবি, বিজেপি হারছে এবং তার জন্য কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোকে দিয়ে হেনস্তা করা হচ্ছে। আয়কর দফতর সূত্রের দাবি, ‘আয়কর আইনে ১৩ নম্বর ধারা মেনে যে তল্লাশি চালানো হয়, এটা তেমনই ঘটনা নয়। ভোটের সময় যদি কোনও অভিযোগ আসে, তাহলে সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তল্লাশি চালায় কুইক রেসপন্স টিম। এক্ষেত্রেও তেমনটাই ঘটেছে। নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই রুটিন তল্লাশি চালানো হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের চপারে’।