খেলা

দ্বিতীয় দিনের শেষে টেস্ট জয়ের পথে ভারত

ভারত: ২৫২/১০ (পন্থ-৩৯, শ্রেয়স-৯২), দ্বিতীয় ইনিংস-৩০৩/৯ (পন্থ ৫০, শ্রেয়স ৬৭, জয়বিক্রম ৭৮/৪, এমবুলডেনিয়া ৮৭/৩)
শ্রীলঙ্কা: ১০৯ (ম্যাথিউজ-৪৩, বুমরাহ- ২৪/৫, শামি- ১৮/২), দ্বিতীয় ইনিংস – ২৮\১ (করুণারত্নে ১০*, মেন্ডিস ১৬*)

প্রথম দিনের শেষে শ্রীলঙ্কার রান ছিল ৬ উইকেটে ৮৬ রান। দ্বিতীয় দিন ভারতীয় বোলারদের দাপটে শ্রীলঙ্কার প্রথম ইনিংস শেষ হয়ে যায় ১০৯ রানে। বুমরাহ পাঁচটি উইকেট নেন। এই নিয়ে টেস্টে অষ্টমবার পাঁচ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড গড়ে ফেলেন তিনি।  দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে রোহিত শর্মা ও মায়াঙ্ক ৪২ রান জোড়েন ওপেনিং জুটিতে। মায়াঙ্ক ২২ রানে ফেরেন। ভারত  অধিনায়ক রোহিত শর্মা ৪৬ রান করেন। পঞ্চাশ হাতছাড়া করেন হিটম্যান। বিরাট কোহলির ব্যাটে এদিনও রান নেই। প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কার স্পিনার ধনঞ্জয় ডি সিলভার বল নীচু হয়ে যাওয়ায় এলবিডব্লিউ হন কোহলি (২৩)। দ্বিতীয় ইনিংসেও প্রায় একই ভাবে আউট হলেন বিরাট। জয়বিক্রমের বলটা নীচু হয়ে যাওয়ায় কোহলি মাত্র ১৩ রানে আউট হন। সময়টা একেবারেই ভাল যাচ্ছে না তাঁর। দুই ইনিংসেই ব্যর্থ হওয়ায় কোহলির ব্যাটিং গড় টেস্টে পঞ্চাশের নিচে নেমে গেল।  হনুমা বিহারী ব্যক্তিগত ৩৫ রানে আউট হন। ঋষভ পন্থ নেমে ঝোড়ো ইনিংস খেললেন। ভারতীয়দের মধ্যে দ্রুততম পঞ্চাশ করার নজির গড়লেন। ভাঙলেন কপিলেদেবের চল্লিশ বছর আগের রেকর্ড। ১৯৮২ সালে পাকিস্তানে সফর করে তৎকালীন ভারতীয় দলে। ওই সফরে করাচিতে ইমরানের দলের বিরুদ্ধে ৩০ বলে পঞ্চাশ রান করেন কপিল। এদিন বেঙ্গালুরুতে সেই রেকর্ড ভেঙে দিলেন বর্তমান ভারতীয় দলের মারকুটে উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান পন্থ। তিনি ২৮ বলে পঞ্চাশ করে ফেলেন। তবে পন্থের সেই পুরনো রোগ কিন্তু এখনও সারেনি। জয়বিক্রমের বল তুলে মারতে গিয়ে শেষ হয় পন্থের ইনিংস। যদিও আগের বলেই আউটের জন্য আবেদন করেছিল শ্রীলঙ্কা। সেই যাত্রায় পন্থ বেঁচে গেলেও পরের বলটাই ওভাবে কেন চালাতে গেলেন,  তা তিনি ভাল বলতে পারবেন। ৩১ বলে ৫০ রান করেন পন্থ। ভারতের রান তখন ৫ উইকেটে ১৮৪। পন্থ ফেরার পরে ভারতের ইনিংসের হাল ধরেন শ্রেয়স আইয়ার। প্রথম ইনিংসে তিনি খেলেছিলেন ৯২ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। দ্বিতীয় ইনিংসে করলেন ৬৭ রান। ভারত তখন নিজেদের গুছিয়ে ফেলেছে। দ্বিতীয় ইনিংসে ভারত সমাপ্তি ঘোষণা করে ৯ উইকেটে ৩০৩ রানে। ৪৪৬ রানে এগিয়ে ভারত। এই অবস্থায় ম্যাচ বাঁচানোর জন্য নামে শ্রীলঙ্কা। তবে দ্বীপরাষ্ট্রের এই দল তো অতীতের ছায়া। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় বলেই উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। বুমরা এলবিডব্লিউ করেন লাহিরু থিরিমানেকে (০)। দ্বিতীয় দিনের শেষে শ্রীলঙ্কার রান এক উইকেটে ২৮ রান। সিরিজে সমতা ফেরাতে হলে শ্রীলঙ্কাকে করতে হবে আরও ৪১৯ রান।