২ রানে ৩ উইকেট হারায় ভারত। শূন্য রানে ফিরে যান ঈশান কিষাণ, রোহিত শর্মা, শ্রেয়স আইয়ার। ২০০ রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়। হ্যাজেলউডের বলে ব্যক্তিগত ১২ রানের মাথায় সুযোগ দেন বিরাট। কিন্তু সেই ক্যাচ ফস্কান মিচেল মার্শ। ক্যারির সঙ্গে বোঝাপড়ার অভাবে মহা মূল্যবান সুযোগ হাতছাড়া করেন। এখানেই ম্যাচ বেরিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়ার হাত থেকে। কোহলি আউট হলে ২০ রানে ৪ উইকেট পড়ে যেত ভারতের। বিশিষ্ট ব্যাটারদের মধ্যে বাকি থাকতেন কেএল রাহুল, হার্দিক পাণ্ডিয়া এবং রবীন্দ্র জাদেজা। কিন্তু মার্শের ভুলের খেসারত দিতে হল গোটা দলকে। গ্রেট প্লেয়াররা একবারই সুযোগ দেয়। এদিনও তাই হল। শুরুতে হোঁচট খেলেও জয় দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু ভারতের। ৬ উইকেটে জিতল টিম ইন্ডিয়া। প্রথমে ব্যাট করে ৪৯.৩ ওভারে ১৯৯ রান তোলে অস্ট্রেলিয়া। জবাবে ৪১.২ ওভারে ৪ উইকেটে হারিয়ে জয়সূচক রানে পৌঁছে যায় ভারত। তৃতীয় উইকেটে ১৬৫ রান যোগ করেন কোহলি-রাহুল। বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে পার্টনারশিপে ভারতের সর্বোচ্চ রান। টসে জিতে ব্যাটিং নেন প্যাট কামিন্স। কিন্তু তার ফায়দা তুলতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। একমাত্র ডেভিড ওয়ার্নার এবং স্টিভ স্মিথ ছাড়া কেউ রান পায়নি। তবে দু’জনেই অর্ধশতরান হাতছাড়া করেন। ৫২ বলে ৪১ করেন ওয়ার্নার। ৭১ বলে ৪৬ করে আউট হন স্মিথ। মিডল অর্ডার পুরো ব্যর্থ। মাঝের ওভারগুলোতে ৩০ রানে ৫ উইকেট হারায় অজিরা। রান পাননি মার্নস লাবুশেন (২৭), অ্যালেক্স ক্যারি (০), গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (১৫) এবং ক্যামেরুন গ্রিন (৮)। চিপকের উইকেটে স্পিনে ঘায়েল অস্ট্রেলিয়া। চেন্নাই সুপার কিংসে খেলার সুবাদে এই মাঠ হাতের তালুর মতো চেনেন রবীন্দ্র জাদেজা। চেনা মঞ্চে ৩ উইকেট তুলে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং মেরুদণ্ড ভেঙে দেন। এটাই ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দেয়। জোড়া উইকেট নেন কুলদীপ যাদব, যশপ্রীত বুমরা। প্রত্যেক ভারতীয় বোলারই উইকেট পায়। পাল্টা ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই চমক। প্রথম দু’ওভারের মধ্যে শূন্যতে ফিরে যান ঈশান কিষাণ, রোহিত শর্মা, শ্রেয়স আইয়ার। ২ রানে ৩ উইকেট হারায় ভারত। অস্ট্রেলিয়ার এই মরণ কামড় সামলে ধীরে ধীরে দলকে ম্যাচে ফেরান বিরাট কোহলি এবং কেএল রাহুল। বিশ্বমঞ্চে অভিযান শুরুর ম্যাচেই স্বমহিমায় কিং কোহলি। রাহুলকে সঙ্গে নিয়ে ঠাণ্ডা মাথায় ইনিংস পরিচালনা করেন। তৃতীয় উইকেটে ১৬৫ রান যোগ করে এই জুটি। একটি মাত্র সুযোগ ছাড়া নিখুঁত ইনিংস কোহলির। এই জায়গা থেকে স্নায়ু ধরে রেখে দলকে চালকের আসনে বসিয়ে দিতে বোধহয় একমাত্র বিরাটই পারেন। তবে একটুর জন্য শতরান হাতছাড়া হয়। ৬টি চারের সাহায্যে ১১৬ বলে ৮৫ রান করে আউট হন। উইকেটের অন্য প্রান্তে অনবদ্য কেএল রাহুল। চোট থেকে ফিরেই এশিয়া কাপে শতরান করেছিলেন। এদিন দলের কঠিন সময় নেমে ১১৫ বলে ৯৭ রানে অপরাজিত থাকেন। একটুর জন্য শতরান হল না। বুদ্ধিদীপ্ত ইনিংসে ছিল ২টি ছয়, ৮টি চার। ছক্কা হাঁকিয়ে দেশকে জয় এনে দেন। অজিদের বিরুদ্ধে বড় জয়ে রানরেট অনেকটাই বাড়িয়ে রাখল ভারত।