জেলা

অটোচালক প্রেমিকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তে ছবি ফাঁস, সমকামিতার টানাপোড়েনে জেরেই খুন এইএসআইয়ের ক্যান্টিন কর্মী!

ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউটের (এইএসআই) ক্যান্টিনে কর্মরত সুমন ওরফে শ্রীমন্ত মাঝি হত্যারহস্যের পর্দা ফাঁস করল পুলিশ। সমকামিতার টানাপোড়েনের জেরেই বরানগরে আইএসআইয়ের ক্যান্টিন কর্মী শ্রীমন্ত মাঝিকে (১৯) খুন হতে হয়েছে। ভাড়া বাড়িতে সুমনের নিথর দেহ উদ্ধার হয়। ওই বাড়িতে অটোচালক সুমন বিশ্বাসের সঙ্গে ভাড়া থাকতেন তিনি। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, শ্রীমন্ত এবং সুমন সমপ্রেমী ছিলেন। এমনকী, একত্রে বসবাসও শুরু করেন তাঁরা। কিন্তু, কিছুদিন ধরেই শ্রীমন্ত সুমনকে স্ত্রী-সন্তানদের ছেড়ে তাঁর সঙ্গে থাকার জন্য জোর করতে থাকে। এরপরেই অশান্তির সূত্রপাত। পরিবারকে ছাড়তে রাজি ছিলেন না অভিযুক্ত সুমন। এদিকে তার উপর চাপ তৈরি করার জন্য ফেসবুকে সুমনের কিছু আপত্তিকর ছবি পোস্ট করেছিলেন শ্রীমন্ত। গত বুধবার রাতে এই নিয়েই তাঁদের মধ্যে বিবাদ চরমে ওঠে। এরপর শ্রীমন্তকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে সুমন বিশ্বাস, পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে এমনই তথ্য।

জানা গিয়েছে, পেশায় অটোচালক সুমন বিশ্বাসের বাড়ি চাকদায়। তিনি বিবাহিত এবং তাঁর দুই সন্তান রয়েছে। কিন্তু, এরপর ISI-এর ক্যান্টিনে কর্মরত শ্রীমন্তর সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়। এরপরেই তাঁদের মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। যদিও শ্রীমন্তর সঙ্গে প্রেম এবং সমপ্রেমিতার বিষয়টি পরিবারের থেকে আড়ালেই রাখতে চেয়েছিলেন সুমন। কিন্তু, একসঙ্গে থাকাও শুরু করেছিলেন তাঁরা। সুভাষপল্লিতে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেছিলেন সুমন বিশ্বাস। পেশায় অটোচালক এই যুবক কিছুদিন বাদে সেই বাড়িতেই নিয়ে আসে শ্রীমন্তকে। প্রতিবেশীরা জানান, কোনওভাবেই এই দুই যুবকের মধ্যে কোনও অন্য সম্পর্ক থাকতে পারে এই বিষয়টি তাঁদের মাথায় আসেনি।  বুধবার রাতে শ্রীমন্তর সঙ্গে সুমনের ঝগড়া শুরু হয়। এরপরেই সুমন শ্রীমন্তকে শ্বাসরোধ করে খুন করে বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের। অটো চালক সুমন এই ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিলেন। কিন্তু, অবশেষে তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।