চন্দ্রযান ৩-এর সফল অবতরণের পরই শুরু রাজনৈতিক তরজা ৷ বুধবার কংগ্রেসের তরফে পালটা জানানো হল, চাঁদে চন্দ্রযান ৩-এর ঐতিহাসিক সফল সফট ল্যান্ডিং ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর প্রাথমিক প্রচেষ্টার ফল। চন্দ্রযান ৩ চাঁদের পৃষ্ঠে তার বিক্রম ল্যান্ডার এবং প্রজ্ঞান রোভার সফল অবতরণ করানোর সঙ্গে সঙ্গেই মহাকাশযান পাঠানোর জন্য দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে কংগ্রেসের তরফে প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া এসেছিল ৷ ইসরোর এই সাফল্যে তাকে নিয়ে জয়জয়কার সারা দেশে। এবার জেনে নেওয়া যাক এই ইসরো’র জন্ম ঠিক কবে? মনে করিয়ে দিলেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা রাজ্যসভার সাংসদ জয়রাম রমেশ। বুধবারই চন্দ্রযান-৩ চাঁদের মাটিতে নামার আগে টুইটারে তিনি লেখেন, “১৯৬২ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি INCOSPAR (Indian National Committee for Space Research) গঠনের মাধ্যমেই ভারতের মহাকাশ গবেষণা শুরু হয়েছিল। ভারতের দুই মহান বিজ্ঞানী হোমি ভাবা ও বিক্রম সারাভাই-এর দূরদর্শিতা এবং জওহরলাল নেহেরুর অত্যন্ত উৎসাহী সমর্থনের জন্যই এটা সম্ভব হয়েছিল।” তিনি আরও জানিয়েছেন, “সেই কমিটিতে দেশের শীর্ষ স্থানীয় বৈজ্ঞানিক প্রতিষ্ঠানগুলি থেকে দেশের সেরা বিজ্ঞানীরা সহযোগিতা ও দলগতভাবে কাজ করার মনোভাব নিয়ে একত্রিত হয়েছিলেন। The Hindu এই INCOSPAR-এর গঠনের খবর তাঁদের ৬ নং পাতায় কভারও করেছিল।” এই লেখার সঙ্গে কংগ্রেস নেতা সর্বভারতীয় সংবাদপত্র ‘The Hindu’-তে প্রকাশিত সেই খবরের একটি ছবিও শেয়ার করেছেন। বুধবারই বিশ্বের অন্যতম সেরা মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র হিসেবে তৃতীয় অভিযানেই চাঁদের মাটি ছুঁয়ে স্বর্ণাক্ষরে ইতিহাস লিখেছে ভারত। তাই এদিনই ভারতের মহাকাশ গবেষণা ও ইসরোর জন্ম ও তার পিছনে প্রধান তিন ব্যক্তির কথা মনে করিয়ে দিলেন রমেশ। ভারতের তৃতীয় চন্দ্রাভিযান চন্দ্রযান ৩ এদিন চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফল অবতরণ করেছে ৷ এমন একটি জায়গা যেখানে এখনও পর্যন্ত কোনও দেশেরই মহাকাশযান অবতরণ করেনি।এরপরই টুইট করে কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়, চাঁদে এবং মহাকাশে ভারতের এই যাত্রা গর্বের ৷ সংকল্প এবং দূরদৃষ্টির এক অনন্য সাধারণ গল্প। স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু যিনি তাঁর বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণার ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন। এদিন চন্দ্রযান ৩-এর সাফল্য তাঁরই প্রাথমিক প্রচেষ্টার ফল ৷ কংগ্রেসের দাবি, এটি প্রতিটি ভারতীয়ের একটি সম্মিলিত সাফল্য এবং ইসরোর কৃতিত্ব ৷ ধারাবাহিকতার একটি কাহিনী প্রতিফলিত করেছে ৷ একই সঙ্গে, টুইটে দলের পক্ষ থেকে লেখা হয়েছে, এটি সত্যিই অসাধারণ। কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে জানান, দেশের ১৪০ কোটি মানুষ আকাঙ্খা নিয়ে উচ্ছ্বসিত জাতি আজ তাদের ছয় দশকের মহাকাশ কর্মসূচিতে আরও একটি অর্জনের সাক্ষী হল ৷ সমগ্র বিশ্ব ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (ইসরো) দিকে তাকিয়ে আছে যা বিশেষ গর্বের বিষয় সমস্ত ভারতীয়ের কাছে। খাড়গে আরও বলেন, আমরা আমাদের বিজ্ঞানী, মহাকাশ প্রকৌশলী, গবেষক এবং এই মিশনটিকে ভারতের জন্য গর্বের করে তোলার সঙ্গে জড়িত প্রত্যেকের অসাধারণ কঠোর পরিশ্রম, অতুলনীয় চাতুর্য এবং অবিচ্ছিন্ন উৎসর্গের জন্য গভীরভাবে আমরা ঋণী ৷ কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি বলেন, আজকের অগ্রণী কৃতিত্বের জন্য টিম ইসরোকে অভিনন্দন। রাহুল বলেন, অপরিচিত চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে চন্দ্রযান ৩-এর অবতরণ আমাদের বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায়ের কয়েক দশকের অসাধারণ প্রচেষ্টা এবং কঠোর পরিশ্রমের ফল। তাঁর দাবি, ১৯৬২ সাল থেকে ভারতের মহাকাশ কর্মসূচি নতুন উচ্চতা অর্জন করে চলেছে ৷ তরুণ এবং যুব প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করেছে। এর পাশাপাশি কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ বলেন, ইসরো-এর কৃতিত্ব ধারাবাহিকতার কাহিনীকেই প্রতিফলিত করে ৷ সত্যিই অসাধারণ। জয়রাম রমেশ এক ভিডিয়ো বার্তায় বলেন, ইসরো-এর কৃতিত্বগুলি সর্বদা স্বনির্ভরতার প্রতীক ৷ অসাধারণ দলগত কাজ করেছে সংস্থা ৷ সমগ্র বিশ্ব আজ ইসরো-এর দিকে তাকিয়ে ৷ তার কৃতিত্বগুলি স্বীকার করছে এবং আমাদের ভারতীয়দের জন্য এটি একটি বিশেষ গর্বের বিষয় ৷ “