দেশ

দেশে শক্তিশালী গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠানগুলিকেই দুর্বল করে দেওয়া হয়েছে, অভিযোগ প্রিয়াঙ্কার

দেশে শক্তিশালী গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য যে সকল প্রতিষ্ঠানগুলি তৈরি করা হয়েছিল ৷ সেগুলিকে ইচ্ছাকৃত দুর্বল করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ জাতীয় কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধি বঢরা ৷ আর এক্ষেত্রে নাম না-করে, ভারতের নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতাকে দুর্বল করে দেওয়ার অভিযোগ করলেন তিনি ৷ তাঁর বক্তব্য, পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে, মানুষ ইলেক্টোরাল ভোটিং মেশিন বা ইভিএম-কে ভরসা করতে পারছে না ৷ বেকারত্ব ও দেশের অর্থনীতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিশানা করেছেন প্রিয়াঙ্কা ৷ তিনি প্রশ্ন করেন, “আজকের দিনে বেকারত্ব চরম সীমায় পৌঁছে গিয়েছে ৷ মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার বেকারত্ব দূর করতে কী করেছে? তারা শুধু প্রতিশ্রুতি দিয়ে গিয়েছে ৷ কিন্তু, তা পূরণ করতে পারেনি ৷” এদিন ফের একবার ভারতীয় সেনাবাহিনীতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কেন্দ্রে ‘অগ্নিবীর’ প্রকল্পের ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে ধরেছেন প্রিয়াঙ্কা ৷জাতীয় কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “তারা ‘অগ্নিবীর’ প্রকল্প নিয়ে এসেছিল ৷ যা মানুষকে আশাহত করেছে ৷ প্রতিটি রাজ্যে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে গিয়েছে ৷ কৃষকরা রাস্তার নেমে প্রতিবাদ করছেন ৷ কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সময় নেই তাঁদের কথা শোনার ৷” প্রিয়াঙ্কা আবেদন করেন, দেশের গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে সকলে নিজেদের কেন্দ্রে গিয়ে ভোট যেন অবশ্যই দেন ৷ তিনি বলেন, “আপনারা ভাবছেন, কীভাবে দেশের গণতন্ত্র দুর্বল হয়ে পড়ছে ? এর কারণ, যে বড়-বড় প্রতিষ্ঠানগুলি তৈরি করা হয়েছিল দেশের গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে, এখন সেগুলিকে দুর্বল করে দেওয়া হয়েছে ৷ সেগুলির অপব্যবহার করা হচ্ছে ৷ মানুষ ইভিএমকে বিশ্বাস করছে না ৷” এদিন জয়পুরের এই সভায় সোনিয়া গান্ধিও উপস্থিত ছিলেন ৷ যিনি রাজস্থান বিধানসভা থেকে কংগ্রেসের টিকিটে নির্বাচিত হয়ে রাজ্যসভায় গিয়েছেন ৷ প্রিয়াঙ্কা কংগ্রেসের নির্বাচনী ইস্তেহারকে ‘দেশের আওয়াজ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন ৷ তিনি বলেন, “আমরা গতকাল নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করেছি ৷ যার নাম রাখা হয়েছে, ‘ন্যায় পত্র’ ৷ আমাদের প্রকাশিত এই ইস্তাহার কেবলমাত্র ঘোষণা বা প্রতিশ্রুতি নয় যে, ভোটের পর আমরা সেগুলি ভুলে যাব ৷ বরং এটা ‘দেশের আওয়াজ’, যা সুবিচার চাইছে ৷”