কলকাতা

ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতায় নবান্নে খোলা হল ইন্টিগ্রেটেড কমান্ড সেন্টার, বাতিল সেচ দফতরের ছুটিও

ইতিমধ্যেই আবহাওয়া দফতরের তরফ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে যে এই ঘূর্ণিঝড় ক্রমশ শক্তি হারিয়ে নিম্নচাপের রুপ নিয়েই স্থলভাগে প্রবেশ করতে চলেছে। কিন্তু তারপরেও কোনওরকম ঝুঁকি নিতে রাজি নয় রাজ্য সরকার। আর তাই যে কোনও পরিস্থিতিতে প্রস্তুত থাকতে শনিবার বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত সেচ এবং বিদ্যুৎ বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীদের ছুটি বাতিল করল নবান্ন। তাঁদের মধ্যে বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীদের ছুটি বাতিলের কথা আগেই ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার। সেই সঙ্গে জানা যাচ্ছে, জাওয়াদ সম্পর্কে প্রতি মিনিটের আপডেট পেতে কন্ট্রোল রুমে নিজে উপস্থিত রয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন রাজ্যের মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।  আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, মূলত পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার উপকূলবর্তী এলাকাগুলির ওপর সবথেকে বেশী প্রভাব পড়বে এই ঘূর্ণিঝড়ের। আর সেই কারণেই এই দুই জেলার ওপরই বিশেষ নজর রয়েছে নবান্নের। ইতিমধ্যেই ওই দুই জেলার বেশ কিছু এলাকার মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে পূর্ব মেদিনীপুর জেলাকে প্রতি ঘন্টায় নবান্নে রিপোর্ট পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘা, মন্দারমণি, তাজপুরের মতো উপকূলবর্তী এলাকাগুলিকে অবিলম্বে পর্যটকশূন্য করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ১৪ হাজার ৩৭৫ জনকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে । তাঁদের নিরাপদে রাখার জন্য তৈরি করা হয়েছে ৪২টি রিলিফ ক্যাম্প।সেই সঙ্গে ১১৫ টি সাইক্লোন সেন্টার তৈরি রাখা হয়েছে। পাশাপাশি কলকাতার যে অংশগুলিতে ভারী বৃষ্টি হলে জল জমার সমস্যা রয়েছে সেই সমস্ত জায়গা থেকে দ্রুত জল বের করার জন্য বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পৌরসভাকে। সেই সঙ্গে নিরাপত্তার জন্য NDRF-এর দুটি টিম মোতায়ন রয়েছে কলকাতায়।  পরিস্থিতি মোকাবিলায় এবার নবান্নে খোলা হল ইন্টিগ্রেটেড কমান্ড সেন্টার। নবান্নের পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের যে দুই জেলার ওপর সতর্কতা জারি করা হয়েছে  সেই দুই জেলাতেও ইন্টিগ্রেটেড কমান্ড সেন্টার  খোলা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই কমান্ড সেন্টারে বিদ্যুৎ, সেচ, বিপর্যয় মোকাবিলা, জেলা প্রশাসন, কৃষি, পূর্ত দফতর, পঞ্চায়েত, পৌরসভা সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিকরা রাতভর থাকবেন এবং তাঁরা প্রতেকেই সমন্বয় রেখে কাজ করবেন, নবান্নের তরফ থেকে এমনটাই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।