বিজেপির বিরাগভাজন হওয়ার জন্যই কি টানা তৃতীয় দিন বলিউড অভিনেতা সোনু সুদের সম্পত্তিতে আয়কর বিভাগের অনুসন্ধান জারি রইল? এমনটাই বলা হয়েছে শিবসেনার মুখপত্র সামানার সম্পাদকীয়তে। এদিকে, অভিনেতার বিরুদ্ধে কর ফাঁকির অভিযোগে এই তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে আয়কর দফতর। এদিনও অভিনেতার মুম্বইয়ের বাড়িতে সকালে অভিযান চালায় আয়কর দফতর। জানা গিয়েছে, মুম্বই, নাগপুর এবং জয়পুরের একাধিক চত্বরে তল্লাশি চলছে। প্রথম দিন মুম্বই এবং লখনউতে সোনু সদের সঙ্গে সংযুক্ত প্রায় ছয়টি সম্পত্তিতে অনুসন্ধান চালায় আয়কর দফতর। পিটিআই জানিয়েছে, এখন বলিউডের এই অভিনেতার সঙ্গে সম্পর্কিত ব্যক্তিরাও আইটি বিভাগের নজরে রয়েছে। সোনু সুদ সম্প্রতি আম আদমি পার্টির ছাত্রদের জন্য মেন্টরশিপ প্রোগ্রামের দূত হয়েছেন। আপ বলিউড তারকার বিরুদ্ধে আয়কর দফতরের অভিযানের তীব্র সমালোচনা করে বলেছে, কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা নিপীড়িতদের পাশে ’মশীহা’ হয়ে দাঁড়ানোর জন্যই সোনু সুদকে বারাবার লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে। আপ প্রধান এবং দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল সোনু সুদের সমর্থনে টুইট করে বলেছিলেন, এই বলিউড অভিনেতার জন্য লক্ষ লক্ষ পরিবারের প্রার্থনা রয়েছে। কারণ তিনি কঠিন সময়ে নিপীড়িতদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। বলিউড অভিনেতা মহামারী চলাকালীন তাঁর মানবিক পদক্ষেপের জন্য জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছেন। পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিবহণের ব্যবস্থা করার ক্ষেত্রে সোনু সুদ এক দৃষ্টান্তমূলক নজির সৃষ্টি করেছেন। এদিকে, শিবসেনাও সোনু সুদের বিরুদ্ধে আয়কর হানার পদক্ষেপের সমালোচনা করে বলেছে, একসময় বিজেপি ওই অভিনেতার মানবিকতা নিয়ে প্রশংসা করত, কিন্তু এখন দিল্লি এবং পাঞ্জাব সরকার তাঁর সঙ্গে হাত মিলানোর পর কেন্দ্রীয় সরকার মনে করে, তিনি কর খেলাপি। শিবসেনা তাদের মুখপত্র সামানায় লিখেছে, ’মহা বিকাশ আঘাদি (এমভিএ) মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা, রাজ্যপালকে রাজ্য আইন পরিষদে মনোনয়নের জন্য ১২ জন সদস্যকে আটকে রাখার জন্য চাপ দেওয়া এবং সোনু সুদের মতো অভিনেতাদের উপর অভিযান চালানো একটি ছোট এবং সংকীর্ণ মনের লক্ষণ।