করোনা কমলেই কার্যকর হবে সিএএ
পুজোর আগে ঝটিকা সফরে বাংলায় এসে ঝটকা বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার । নির্বাচনী প্রচারে পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতির মাঝেই নাড্ডা মনে করিয়ে দিলেন নাগরিকত্ব আইন ভোলেনি বিজেপি । স্পষ্ট ভাষায় বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জানিয়ে দিলেন মহামারী করোনায় সিএএ পিছিয়েছে বাতিল হয়নি । করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলেই কার্যকর হবে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ।রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় স্কিমগুলি ব্লক করছে বলে অভিযোগ করে নাড্ডা বলেন, “মমতা দিদি শুধু বলেন হবে না-হবে না। আজ আমি বলতে চাই হবে-হবে। কেবল এপ্রিল পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হয়ে গেলেই বাংলার কোটি কোটি কৃষক ও দরিদ্র মানুষকে আয়ুষ্মান ভারত এবং প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধি যোজনা সুবিধা পাবেন। আমরা ক্ষমতায় এসে এই সুবিধা দেব, কোনও প্রকল্পগুলি থেকে কেউ বঞ্চিত হবেন না। নাড্ডা আরও বলেন, তৃণমূল সরকার হিংসা এবং কাটমানি সংস্কৃতিতে বিশ্বাসী। আর রাজ্যবাসী এই সরকারের উপর বিরক্ত। ২০২১ সালে রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের পরে বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে পরবর্তী সরকার গঠন করবে। সেই লক্ষ্যেই এদিন সাংগঠনিক বিষয়ে পর্যবেক্ষণ করতে নাড্ডা উত্তরবঙ্গে বিজেপি নেতাদের সঙ্গে এবং সামাজিক ও ধর্মীয় দলগুলির সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন। নাড্ডার অভিযোগ, রাজনৈতিক স্বার্থ নিয়ে চলছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যে তিনি বিভাজনের রাজনীতি কায়েম করেছেন। তৃণমূল মোটেও বিজেপির মতো নয়। বিজেপি সকলের বিকাশের জন্য কাজ করে। আর তৃণমূল কাজ করে শুধু নিজের বিকাশের জন্য। তাই এবার এই তৃণমূল সরকারকে পরিবর্তন করা দরকার। তৃণমূল কংগ্রেস সরকার তোষণের রাজনীতিতে বিশ্বাসী বলে নাড্ডার মত। তাঁর কথায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার বাংলায় হিন্দু সম্প্রদায়ের ক্ষতি করেছে এবং এখন মুখ্যমন্ত্রী চেয়ার হারানোর ভয়ে হিন্দুদের উপর আস্থা ফিরিয়ে জয়লাভের চেষ্টা করছেন। এ সবই ভোট-ব্যাংক রাজনীতির জন্য করা হচ্ছে। জেপি নাড্ডা মনে করেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভাজন এবং শাসন নীতিতে বিশ্বাসী। কারণ তাঁর সরকার জনগণের সেবা করতে চায় না। যে কোনও উপায়ে শাসন কায়েম করতে চায়। টিএমসি বিভাজন ও শাসনে বিশ্বাস করে এবং বিজেপি ভ্রাতৃত্বে বিশ্বাসী, সকলের বিকাশে বিশ্বাসী।