কলকাতায় ধর্মতলায় গান্ধীমূর্তির পাদদেশে নবম থেকে দ্বাদশ চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থান বিক্ষোভ। চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ধুন্ধুমার বাঁধে। জোর করে অবস্থান থেকে তুলে দেওয়া হল চাকরিপ্রার্থীদের। ২০০৯ সালের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বঞ্চিত যোগ্য প্রাথমিক স্তরের চাকরি প্রার্থীরা। ১৮৩৪ জনক পূর্ণাঙ্গ প্যানেল চাই ,এর দাবিতে লাগাতার অবস্থান চালাচ্ছে চাকরিপ্রার্থীরা। তাদের দাবি, প্রশাসনের তরফ থেকে কোনও আশ্বাস মেলেনি, তাই যত দিন না নিয়োদের আশ্বাস না পেলে তারা অবস্থান চালিয়ে যাবেন। নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শারিশিক্ষা ও কর্ম শিক্ষার গ্রুপ-ডি ও গ্রুপ সি পদে বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলন আজ ৯৯৩ দিনে পা দিল শনিবার। গান্ধীমূর্তির পাদদেশে এদিন গণ আদালতে গণ রায় শীর্ষক অবস্থানে স্বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবীরা সামিল হন। সিপিএম নেত্রী ও অধ্যাপিকা নন্দিনী মুখার্জি বলেন, সরকারের কোনও সদ ইচ্ছা নেই। সেই রকমের কোনও ইঙ্গিত সরকারের থেকে মেলেনি। দীর্ঘদিন ধরে চাকরির দাবিতে আন্দোলনের ফলে নতুন প্রজন্মের ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে উচ্চশিক্ষার প্রতি আকর্ষণ কমবে। শিক্ষার ক্ষেত্রে এরকমই অবস্থা কোনওদিন দেখেননি জানান তিনি। অধ্যাপক অম্বিকাশ মহাপাত্র জানান, সরকারের উচিত যত তাড়াতাড়ি বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের চাকরি ফিরিয়ে দেওয়া। মিরাতুন নাহার বলেন, বঞ্চিত চাকরির প্রার্থীদের আন্দোলনে তিনি শামিল হয়েছেন। সরকার ঠিক পথে চলছে না। বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের চাকরি ফিরিয়ে না দিয়ে অন্যায় করছে সরকার। আন্দোলনের সঙ্গে তিনি আছেন।