কেন্দ্রীয় সরকারের দুই মন্ত্রকের পাতা ফাঁদে আটকে জোকা-বিবাদী বাগ মেট্রোর ভবিষ্যৎ। গত ২০১০ সালের ২২ সেপ্টেম্বর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাটিল হাত ধরেই জোকা-বিবাদী বাগ মেট্রোর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হয়। কিন্তু তারপর থেকেই নানা আইনি বেড়াজালে আটকে বারবার থমকে গিয়েছে মেট্রোর কাজ। তবে আইনি জট কাটিয়ে প্রথম পর্যায়ের অর্থাত্ জোকা থেকে মোমিনপুর অবধি সম্পূর্ণ হয়েছে সুড়ঙ্গ কাটা ও প্রাথমিক কিছু কাজ। কিন্তু আবারও আটকে গিয়েছে এই মেট্রোর দ্বিতীয় অংশের কাজ। কারণ হাইকোর্টের নির্দেশের জন্য আর সেনার অনুমতি না মেলায় থমকে রয়েছে জোকা-বিবাদী বাগ মেট্রোর কাজ। আর এই কারণেই সেনার অনুমতি না দেওয়ার বিরুদ্ধে গিয়ে আদালতের দ্বারস্থ রেল বিকাশ নিগম লিমিটেড। সেনার আপত্তির জন্যই জোকা থেকে রুট বদলে ধর্মতলা করা হয়। রেলমন্ত্রী থাকাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রকল্প পাস
করান। জমি জট ছিল যার মূল সমস্যা অবশ্য পুরসভা, পূর্ত ও দমকল দফতর বারবার সমস্যার সমাধানে সাহায্য করেছে রেলের। কিন্তু খিদিরপুর থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত যেতে মাটির নীচের সুড়ঙ্গের খোড়াখুড়ির দরকার। তাই অনুমতি নিতেই হবে সেনার। আর এই ক্ষেত্রে বারবার অনুমতি দেওয়া থেকে বিরত থাকছে সেনা অফিস। তাই বাধ্য হয়েই আদালতের দ্বারস্থ রেল বিকাশ নিগম লিমিটেড। মেট্রোর কাজের জন্য অনুমতি দিচ্ছে না সেনা এই মর্মেই আদালতে জানিয়েছে ওই সংস্থা। যার জবাবে বিচারপতির কাছে তিন সপ্তাহ সময় চেয়ে নিয়েছে সেনা। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল বলেন, ‘সেনার বক্তব্য না জেনে অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়।’ মেট্রোর খনন সম্পর্কিত বিষয়ে হাইকোর্টকে জানানোর জন্য ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে সেনাকে। ওই দিনই হবে এই মামলার পরবর্তী শুনানি।