তৃতীয়া থেকে শুরু। দুর্গাপুজো উপলক্ষে রাজ্যে আসছেন একের পর এক বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, ধর্মেন্দ্র প্রধানের পর সপ্তমীর দুর্গাপুজোয় শহরে অতিথি বাংলার জামাই বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎ প্রসাদ নাড্ডা। কারণ তাঁর স্ত্রী মল্লিকা জন্মসূত্রে বাঙালি। তাঁকে কলকাতা বিমানবন্দরে এসে স্বাগত জানান শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদার এবং দিলীপ ঘোষ। বিমানবন্দরে ঢাক বাজিয়ে স্বাগত জানানো হয় জে পি নাড্ডাকে। রীতিমতো ধুতি পঞ্জাবি পরেই বাঙালি জামাই সাজে কলকাতায় BJP সর্বভারতীয় সভাপতি। শহরে পা দিয়ে জেপি নাড্ডা যান হাওড়ার বেলিলিয়াস রোডের পুজোয়। সেখান থেকে বেরিয়ে তাঁর গন্তব্য শোভাবাজার রাজবাড়ি। সেখানে অঞ্জলি দিতে দেখা যায় তাঁকে। তারপর গোটা শোভাবাজার রাজবাড়ি ঘুরে দেখেন তিনি। পরের গন্তব্য কলকাতার রামমন্দির অর্থাৎ সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার। সেখানে এসে দেবী আরাধনায় আরতি করেন তিনি। এরই মাঝে হাওড়ায় পুজোর মঞ্চ থেকে নাড্ডা বলেন, ‘আজ বাংলা যা ভাবে কাল তা ভাবে ভারত। ইতিহাস সাক্ষী এদেশের বিকাশে অবদান রাখা সমাজ সংস্কারক থেকে বিপ্লবী অনেকেই জন্মেছে এই বাংলায়। সবার বিকাশের কথা ভাবে বাংলা। তারা দিশা দেখিয়েছে দুনিয়াকে। কিন্তু আজ যে দলের লোকেদের বুদ্ধিভ্রষ্ট হয়েছে। তাদের সুবুদ্ধি দিক। পরিবারতন্ত্র, দুর্নীতি, অনুপ্রবেশের মতো অসুরীয় শক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য দেবী দুর্গা যাতে আমাদের শক্তি দেন, সেই প্রার্থনা করছি। সমাজ থেকে আসুরিক শক্তির বিনাশ হোক। আমাদের স্লোগানের, আমাদের সঙ্গে বাংলার মানুষ বিকাশের দিকে এগিয়ে চলুক।’ কিন্তু জেপি নাড্ডা শহরে পা দিতে না দিতেই শুরু রাজনৈতিক তরজা। বিজেপির অভিযোগ, শোভাবাজার রাজবাড়ির সামনে থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে নাড্ডার হোডিং।