শুধু ইমার্জেন্সি নয়, হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবার যাবতীয় কাজে অবশ্যই যোগ দিতে হবে চিকিৎসকদের। গতকাল, সোমবার আরজিকর কাণ্ডে স্বতঃপ্রণোদিত মামলায় এমনই নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিমকোর্ট। দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, ‘ইন পেশেন্ট ডিপার্টমেন্ট (আইপিডি) এবং আউট পেশেন্ট ডিপার্টমেন্ট (ওপিডি) সহ যাবতীয় মেডিক্যাল এবং ইমার্জেন্সি পরিষেবায় চিকিৎসকদের যোগ দিতে হবে।’ এদিকে সুপ্রিম কোর্টে মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১৪ অক্টোবর।যদিও সেই নির্দেশকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখাল জুনিয়র চিকিৎসকরা। আজ, মঙ্গলবার থেকে রাজ্যজুড়ে পূর্ণ কর্মবিরতির ডাক তাঁরা। জুনিয়র চিকিৎসকদের দশ দফা দাবি রয়েছে। যেগুলি হল- নির্যাতিতার দ্রুত ন্যায়বিচার, স্বাস্থ্যসচিবের অপসারণ, হাসপাতালগুলিতে পুলিসি নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা, সমস্ত সরকারি হাসপাতালে কেন্দ্রীয় রেফারেল ব্যবস্থা চালু করা, হাসপাতালের খালি বেডের মনিটরিং ব্যবস্থা চালু করা, ছাত্র সংসদ নির্বাচন, হাসপাতালগুলিতে শূন্যপদ পূরণ করা, হুমকি সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ, দ্রুত সমস্ত হাসপাতাল এবং মেডিক্যাল কলেজে টাস্ক ফোর্স গঠন করে সিসিটিভি, প্যানিক বোতামের ব্যবস্থা করা। জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবি, এই বিষয়গুলি এখনও মেনে নেয়নি রাজ্য সরকার। তাই আজ থেকে রাজ্যের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পূর্ণ কর্মবিরতি করবেন তাঁরা। যতদিন না তাঁদের সমস্ত দাবি মানা হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত এই কর্মবিরতি চলবে বলেই জানিয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত শনিবারই জুনিয়র চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, সোমবার সুপ্রিম কোর্টের শুনানির পর কর্মবিরতিতে যাওয়ার কথা ভাববেন তাঁরা। সেইমতো গতকাল, সোমবার রাতে জিবি বৈঠক করেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। টানা আট ঘণ্টা সেই বৈঠক চলে। আর তাতেই কর্মবিরতির পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের পাশাপাশি সিবিআইয়ের বিরুদ্ধেই ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন তাঁরা। অভয়া কাণ্ডের তদন্তে যে দীর্ঘসূত্রতা দেখাচ্ছে সিবিআই তাতে আশাহত হয়েছেন বলেই জানিয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।