রাতে তিনি ছিলেন সেমিনার হলে। আর সকালে পাওয়া গেল তাঁর অর্ধনগ্ন মৃতদেহ। আরজিকরে তরুণী চিকিৎসকের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনাকে ঘিরে কার্যত অনেক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। হাসপাতালের সেমিনার হলের ভেতর সেই জুনিয়র ডাক্তারের অস্বাভাবিক মৃত্যুর জেরে উত্তাল আরজিকর। এলাকায় বিরাট পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে খোদ পুলিশ কমিশনার আরজিকরে যান। এদিকে মৃত্যুর প্রতিবাদে কর্মবিরতিতে নেমেছে হাসপাতালের রেসিডেন্ট ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন। মহিলা চিকিৎসকের বাবার দাবি, ধর্ষণ করে আমার মেয়েকে খুন করা হয়েছে। জরুরী বিভাগের সেমিনার হলে মিলেছে তাঁর দেহ। রাত দুটোয় ডিনার করেন তিনি। এরপর সেমিনার হলে যান। সেখানেই মিলেছে দেহ। অনেকের দাবি শরীরের পোশাক ছিল অবিন্যস্ত। ময়নাতদন্তের জন্য তিন সদস্যের কমিটি তৈরি করা হয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তের দাবি ডাক্তারি পড়ুয়াদের। অবস্থান বিক্ষোভে নেমেছে বিজেপি। মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। এমার্জেন্সি বিভাগের কাছে চারতলায় সেমিনার হলে মিলেছে তাঁর দেহ। পুলিশ ও স্বাস্থ্য দফতরের পদস্থ আধিকারিকরা রয়েছেন হাসপাতালে। পুলিশ ইতিমধ্য়েই গতকাল রাতে যারা যারা হাসপাতালে ছিলেন ডিউটিতে তাঁদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছে। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। হাসপাতালে গিয়েছেন ফরেনসিক টিম। গিয়েছেন স্বাস্থ্যসচিব। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ভিডিয়োগ্রাফি করা হবে ময়নাতদন্তের সময়। সেই দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে বলে খবর। জরুরী পরিষেবা বাদ দিয়ে বিভিন্ন জায়গাতে ডিউটিতে যাননি পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেনি চিকিৎসকরা। এদিকে হাসপাতালের বিভিন্ন চিকিৎসক সংগঠন ও নার্সদের সংগঠনের সদস্যরাও তুমুল বিক্ষোভ দেখান। অপরদিকে নাইট ডিউটিতে ছিলেন ওই ট্রেনি চিকিৎসক। সেখানে কীভাবে মৃত্যু। মৃতের বাবা সংবাদমাধ্যমের কাছে ফোনে দাবি করেন, আমাদের সন্দেহ মেয়েকে খুন করা হয়েছে। ধর্ষণ করা হয়েছে। প্রিন্সিপালকে ডাকলেও আসছে না। অর্ধনগ্ন অবস্থায় পড়েছিল। এদিকে মৃতের বাবাকে মুখ্য়মন্ত্রী ফোন করেছিলেন বলে খবর। তিনি প্রয়োজনে মৃতের বাড়িতে যাবেন বলেও খবর। তবে প্রশ্ন উঠছে ওই ট্রেনি চিকিৎসক কি আত্মহত্যা করেছেন নাকি তাঁকে খুন করা হয়েছে? যদি দ্বিতীয়টি সত্যি হয় তবে ফের কলকাতায় নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল।