দেশ

পশ্চিমবঙ্গ, পাঞ্জাব এবং অসমে বিএসএফকে বাড়তি ক্ষমতা দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক, কমল গুজরাতের

যদিও, গুজরাতে বিএসএফ-এর কার্যক্ষেত্র হ্রাস করল

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক বুধবার বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের ক্ষমতা বাড়িয়ে তার কর্মকর্তাদের গ্রেফতার, তল্লাশি ও বাজেয়াপ্ত করার ক্ষমতা দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ, পাঞ্জাব এবং অসম এই তিনটি সীমান্তবর্তী রাজ্যেবিএসএফ-এর কার্যক্ষেত্র বাড়ানো হয়েছে। সোমবার জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে, কেন্দ্র জানিয়েছে যে আন্তর্জাতিক সীমান্ত থাকা রাজ্যগুলিতে বিএসএফ-এর ক্ষমতা প্রয়োগের ক্ষেত্রে ২০১৪ সালের জুলাই মাসের বিজ্ঞপ্তির সংশোধন করা হয়েছে। অসম, পশ্চিমবঙ্গ এবং পাঞ্জাবের ভারত-পাকিস্তান এবং ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে ভারতীয় সীমানার ভিতরে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত অঞ্চলে BSF-এর কার্যক্ষেত্র বাড়ানো হয়েছে। আগে এটি ছিল ১৫ কিলোমিটার। এর বাইরে, নাগাল্যান্ড, মিজোরাম, ত্রিপুরা, মণিপুর এবং লাদাখেও BSF-কে অনুসন্ধান এবং গ্রেপ্তার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। যদিও, গুজরাতে বিএসএফ-এর কার্যক্ষেত্র হ্রাস করে ৮০ কিলোমিটার থেকে কমিয়ে ৫০ কিলোমিটার করা হয়েছে। রাজস্থানে কার্যক্ষেত্রের পরিধি অপরিবর্তিত (৫০ কিলোমিটার) রাখা হয়েছে। মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, মিজোরাম, ত্রিপুরা এবং মণিপুরের এই পাঁচটি উত্তর -পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য সহ জম্মু -কাশ্মীর এবং লাদাখের জন্য BSF-এর কার্যক্ষেত্রের পরিধির কোন সীমানা নির্ধারণ করা হয়নি। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চন্নি এই পদক্ষেপকে ফেডেরালিজমের উপর সরাসরি আক্রমণ বলে অভিহিত করেছেন।  পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিত্‍ সিং চান্নি টুইট করে বলেছেন, ‘সীমান্তের ভেতরে ৫০ কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত বিএসএফকে যে বাড়তি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, আমি তার তীব্র প্রতিবাদ করছি।’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দাবি, ১০ টি রাজ্য ও দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে দেশবিরোধী কার্যকলাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। সেজন্যই বাড়তি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে বিএসএফকে। পুলিশের এক পদস্থ কর্তা বলেছেন, ‘বিষয়টি খুবই সংবেদনশীল। বি এস এফের কাজ সীমান্ত পাহারা দেওয়া। অনুপ্রবেশ বন্ধ করা। সম্প্রতি কয়েকটি ঘটনায় বোঝা গিয়েছে, তারা যথাযথভাবে সীমান্ত পাহারা দিতে পারে না।’