মালদার কালিয়াচক খুনের ঘটনায় নয়া মোড়। ধৃত আসিফ মহম্মদকে জেরায় উঠে আসছে একের পর এক শিউড়ে ওঠার মতো তথ্য। জেরায় দুই বন্ধুর কথা জানিয়েছে সে। সাবির আলি ও মাফুজ শেখের বাড়িতে শনিবার রাতেই হানা দেয় পুলিশ। সেখান থেকে উদ্ধার হয়েছে ৫টি ৭এমএম পিস্তল, ৮৪ রাউন্ড গুলি ও ১০টি ম্যাগাজিন। এই দুই তরণকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এইসব অস্ত্র নিয়ে তারা কি করতো তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পাশাপাশি খুনের ঘটনায় আসিফের সঙ্গে এই দু’জনের কি সম্পর্ক তারও অনুসন্ধান শুরু করা হয়েছে।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আরও সন্দেহভাজন ১৫ জনের খোঁজ চালানো হচ্ছে। এদিকে পুলিশ জানতে পেরেছে যে, আসিফ মাধ্যমিকের পর টানা ২ বছর বাড়িতে ছিল না। তখন সে কোথায় ছিলো? কাদের সঙ্গে মেলামেশা করেছে? আপাতত তারই হদিশ পেতে মরিয়া পুলিশ প্রশাসন। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে খুব দূরে নয় কালিয়াচক। তাই আসিফ ও তার বন্ধুদের কোনও আন্তর্জাতিক অপরাধ চক্রের যোগ রয়েছে কিনা তা দেখা হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, যে কায়দায় ঠান্ডা পানীয়র সঙ্গে মাদক মিশিয়ে বাবা-মা সহ বাড়ির চার সদস্যকে অচৈতন্য করে নৃশংসভাবে খুন করেছে আসিফ, তাতে পেশাদার অপরাধীদের নিখুঁত পরিকল্পনার ছাপ ধরা পড়েছে। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে তাই ঘটনার গভীরে পৌঁছতে চাইছে পুলিশ। শনিবারই আসিফ কবুল করেছে যে, দেহগুলি গুদাম ঘরে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে যাতে গ্রামবাসীরা জানতে না পারেন, তার জন্য ১২ ফুটের একটি সুড়ঙ্গ কাটা হয়েছিল। ওই সুরঙ্গ পথেই ঘর থেকে গুদামে দেহগুলো সরানো হয়। পরে ওই গর্ত ঢালাই করে দেওয়া হয়েছিল। অর্থাত্ প্রমাণ লোপাটের যাবতীয় মরিয়া চেষ্টা করেছিল সে।