হাথরস কাণ্ডের প্রতিবাদে ফের গর্জে উঠল দিল্লি। যন্তরমন্তরে জড়ো হলেন অন্তত পাঁচশো মানুষ। সাধারণ মানুষ, সমাজসেবী থেকে রাজনীতিক- সামিল হলেন সকলে। ছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল, ভীম আর্মির প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদ, সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি। স্থির হয়েছিল, হাথরসের ২০ বছরের দলিত তরুণীর নির্যাতনের প্রতিবাদে ইন্ডিয়া গেটে জড়ো হবেন সকলে। কিন্তু পুলিশ অনুমতি দেয়নি। তাই যন্তরমন্তরে শুরু হয় প্রতিবাদ, জানালেন চন্দ্রশেখর আজাদ। ১০০ জনের বেশি উপস্থিত থাকতে পারবেন না বলে জানিয়েছিল দিল্লি পুলিশ। শেষ পর্যন্ত দেখা গেল অন্তত ৫০০ জন উপস্থিত হলেন। সন্ধে নামার পর তাঁরা মোমবাতি জ্বালিয়ে দাঁড়িয়ে রইলেন। পুলিশ তখন নির্বাক দর্শক। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল দোষীদের কড়া শাস্তির দাবি তুললেন। সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি জানালেন, ‘উত্তরপ্রদেশ সরকারের ক্ষমতায় থাকার অধিকার নেই। আমাদের দাবি, ন্যায়বিচার করতেই হবে।’তিনি আরও বললেন, ‘এই জঘন্য অপরাধ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার এবং বিজেপি-র শীর্ষনেতাদের নীরবতা এবার তার পর উত্তরপ্রদেশ সরকারের জবাব শাসকদলের চেহারা, চাল, চরিত্র, চিন্তনি তুলে ধরে।’ আইনজীবী তথা সমাজকর্মী প্রশান্ত ভূষণ বললেন, উত্তরপ্রদেশে যা হচ্ছে, ‘গুণ্ডারাজ। গ্রাম ঘিরে রেখেছে পুলিশ। কোনও সংবাদমাধ্যম বা বিরোধী নেতাদের ঢুকতে দিচ্ছেন না। নির্যাতিতার আত্মীয়দের মোবাইল কেড়ে নিয়েছে।’ ভীম আর্মি প্রধান আজাদ টুইটারে লিখেছেন, ‘আমি হাথরসে যাবই। মুখ্যমন্ত্রী যতক্ষণ ইস্তফা না দেন এবং ন্যায় বিচার না করে, ততক্ষণ লড়াই চলবে। আমি সুপ্রিম কোর্টকে এই ঘটনায় হস্তক্ষেপের আর্জি জানাচ্ছি।’ গান্ধীজয়ন্তীর দিন এই প্রতিবাদ স্বাভাবিকভাবেই বিশেষ অর্থবহ বলে মনে করছেন অনেকেই।