ক্রমে আরও ভয়াবহ হচ্ছে কেরালায় বন্যা পরিস্থিতি। দক্ষিণের এই রাজ্যে বিগত দু’দিন ধরে একনাগারে চলছে বৃষ্টিপাত। আর মূলত সেই কারণেই কেরালায় অধিকাংশ জেলা বর্তমানে জলের তলায়। রবিবার সকালেই জানানো হয়েছিল এই বন্যা এবং ভূমিধসের কারণে ইতিমধ্যেই কেরলে প্রাণ হারিয়েছেন ১১ জন। কিন্তু বিকেলের মধ্যে সেই সংখ্যাটা বেড়ে হয়েছে ২৬। নিখোঁজ এখনও ১৩ জন। সূত্রে খবর, মৃত ২৬ জনের মধ্যে ১৩ জনই কোটায়ামের বাসিন্দা। অন্যদিকে ইদুক্কি জেলায় ইতিমধ্যেই মারা গিয়েছেন চারজন। আলাপ্পুজা জেলাতেও এই বন্যার কারণে মৃত্যু হয়েছে দুজনের। জানা যাচ্ছে কেরালার এই তিন জেলাতেই বর্তমানে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। শুধু তাই নয় জানা যাচ্ছে শুধুমাত্র কোটায়েম জেলাতেই ১১ জন এখনও নিখোঁজ। পরিস্থিতি মোকাবেলা এবং উদ্ধার কাজের জন্য রবিবার সকাল থেকেই কেরলে নামানো হয়েছে সেনা। সঙ্গে রয়েছে জাতীয় এবং রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের সদস্যরা। উদ্ধারকাজে নেমেছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ১১ টি দল। তারা মূলত দক্ষিণের দুটি রাজ্যে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছেন। ভারতীয় সেনার তরফ থেকে জানানো হয়েছে ইতিমধ্যে কেরলের বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে একটি নেভি হেলিকপ্টার আকাশপথে টহল দিচ্ছে। পাশাপাশি দুটি এমআই-১৭ হেলিকপ্টার রাখা রয়েছে নিকটবর্তী বায়ুসেনা স্টেশনে। যাতে আপত্কালীন পরিস্থিতিতে উদ্ধার কাজ শুরু করা যায় তার জন্য ভারতীয় সেনার তরফ থেকেই ব্যবস্থা করা হয়েছে। অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কেরলের পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে রবিবার কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। টুইটারে একথা লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী নিজেই। কেরালার প্রসঙ্গে এদিন তিনি লেখেন, ‘কেরলের পরিস্থিতি সম্পর্কে বিশদে জানতে মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের সঙ্গে কথা হয়েছে। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ। পাশাপাশি আহতদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমি সকলের নিরাপত্তা এবং সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করছি। পাশাপাশি সমবেদনা তাঁদের পরিবারের জন্য যারা কেরলের এই প্রবল বর্ষণ এবং ভূমিধসের কারণে প্রাণ হারিয়েছেন।’