ওয়েনাড় জেলার পাহাড়ি এলাকায় ভয়াবহ ভূমি ধসে প্রাণহানি ক্রমশ বেড়েই চলেছে। কাদা ও বালির স্তূপ থেকে একের পর এক দেহ উদ্ধার হচ্ছে ৷ এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪৪ ৷ এখনও ৩০০-র বেশি নিখোঁজ বলে জানা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার ওয়েনাড়ের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে দেখেন ওয়েনাড়ের প্রাক্তন সাংসদ রাহুল গান্ধি ও কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা ৷ ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছিল সোমবার রাত থেকে ৷ মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয় কেরলের ওই পাহাড়ি গ্রাম কালপেট্টা, চুরালমালা, মুন্ডাক্কাই-সহ ওয়েনাড়ের বেশ কিছু জায়গায়। গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন পাহাড়ি গ্রামগুলিতে সেই মধ্যরাত থেকে ভোরের মধ্যে পর পর আছড়ে পড়ে প্রকৃতির রোষ। শুরু হয় প্রকৃতির তাণ্ডব ৷ মঙ্গলবার মধ্যরাত পর্যন্ত ভূমিধস কমপক্ষে চারটি গ্রামে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে, এমনটাই সরকারি সূত্র জানিয়েছে। বুধবারও সারাদিন চলেছে প্রকৃতির ধংব্বসলীলা ৷ যাঁরা বেঁচে গিয়েছেন, তাঁরা এখন সেই ধ্বংসস্তূপের মধ্যে ইট, কাঠ বালি, কাদা সরিয়ে স্বজনদের খুঁজে বেড়াচ্ছেন। এদিকে এনডিআরএফ আহত ২০০ জনেরও বেশি গ্রামবাসীকে উদ্ধার করেছে ৷ তাঁদের চিকিৎসাও শুরু হয়েছে ৷ এখনও পর্যন্ত ৩০০০ জনেরও বেশি লোককে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দিয়েছেন উদ্ধারকারীরা ৷ উদ্ধারকাজে নামানো হচ্ছে ভারতীয় বায়ুসেনার হেলিকপ্টারও। দুর্ঘটনার পরপরই তৎপর হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্য প্রশাসনের সমস্ত বিভাগ যেন অবিলম্বে কাজ শুরু করে, তার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। ‘ঈশ্বরের আপন দেশে’ এই প্রবল বৃষ্টি এবং প্রাকৃতিক প্রতিকূলতা আর নয়, কাতর আর্তনাদ স্বজনহারাদের ৷