কলকাতা

দশমীতেও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিতে ভিজল কলকাতা, বাংলায় দুর্যোগের পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া দফতর

বিজয়া দশমীতেও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি ভিজল কলকাতা। বৃষ্টির মধ্যেই চলল নিরঞ্জন পর্ব। শুক্রবার বিকেল থেকেই আকাশ কালো করে মেঘ ঘুটে আসে। আর তারপর নামে বৃষ্টি। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, কলকাতায় ভারী বৃষ্টি না হলেও দশমীর সন্ধ্যা বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হয়েছে। এখন দিনে কয়েক গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টি চলবে। আলিপুর হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস ছিল অষ্টমীর দিন থেকে বৃষ্টিতে ভাসবে কলকাতা ও তার আশপাশের জেলা। কিন্তু সে অর্থে অষ্টমী ও নবমী বৃষ্টি হয়নি। বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি দু-এক পশলা হয়েছে। দশমীর দিন রাত থেকেই দুর্যোগ নামার কথা ছিল। তবে তা আরও দুদিন বিলম্বিত হচ্ছে। বর্ষা বিদায় নেওয়ার আর দেরি নেই। প্রায় সব জেলা থেকেই বিদায় নিয়েছে। সমুদ্র উপকূলবর্তী জেলা ও তার সংলগ্ন কয়েকটি জেলায় যাবার বেলায় ভিজিয়ে যাবে মৌসুমী বায়ুর বৃষ্টি। জোড়া নিম্নচাপ বাসা বেঁধেছে দু-প্রান্তে। বঙ্গোপসাগরের নিম্নতাপের অভিমুখ উত্তর-পশ্চিমে। পশ্চিম ওড়িশা ও অন্ধ্রপ্রদেশের দিকে শক্তি বাড়িয়ে এগিয়ে যাবে ওই নিম্নচাপ। আর অপর নিম্নচাপটি আরব সাগরে। তার জেরেও ভিজবে দক্ষিণ ভারত। সাগরের উপর একের পর এক নিম্নচাপের ফলে বর্ষা বিদায় নিতে পারছে না। শুক্রবার সকালটা ছিল রোদ ঝলমলে। কিন্তু দুপুরের পর থেকেই ঘনিয়ে আসে মেঘ। বিকেলের পর থেকেই দক্ষিণ কলকাতার যাদবপুর সংলগ্ন এলাকা, যাদবপুর, বাবুঘাট ও আরও কয়েকটি এলাকায় স্বল্প সময়ের জন্য হলেও বেশ ভারী বৃষ্টি হয়। ভারী বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়ার দাপটও ছিল বেশ। তবে বৃষ্টি ও হাওয়ার দাপট উপেক্ষা করেই নিরঞ্জন চলে বাবুঘাট ও কলকাতার অন্যান্য ঘাটে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস, পুজোর পর দ্বাদশী থেকে বৃষ্টির প্রকোপ বাড়বে। জোড়ো হাওয়ার দাপটও থাকবে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার জেরে মত্‍স্যজীবীদের ১৭ ও ১৮ অক্টোবর সমুদ্রে যেতে নিষেধ করেছে হাওয়া অফিস। হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে জেলায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে। হাওড়া, হুগলি ও কলকাতাও এই দুর্যোগের হাত থেকে রক্ষা পাবে না। কলকাতা, হাওড়া ও হুগলি জেলাও ভাসাবে জোড়া নিম্নচাপ।