কলকাতা

বিধিনিষেধ ভেঙে হাওড়ায় যাওয়ার চেষ্টা করার জন্য শুভেন্দুকে ‘মানসিক রোগী’ বলে কটাক্ষ  কুণালের

রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে এবার এক হাত নিলেন কুণাল ঘোষ। রবিবার শুভেন্দু অধিকারী হাওড়া যাওয়ার উদ্দেশে বেরোলে তমলুকে তাঁর পথ আটকায় পুলিশ। যা নিয়ে আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন শুভেন্দু। এবার এই বিষয়ে শুভেন্দুকে কটাক্ষ করলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। শুভেন্দুকে ‘মানসিক রোগী’ বলে কটাক্ষ করেন তিনি। কুণাল ঘোষ বলেন, ‘শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপি নেতারা নাটক করছেন। একটা ধর্মীয় আবেগে আঘাত পড়েছে বা একাংশের রাজনীতিবিদ প্ররোচনা দিচ্ছেন। যখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসছে, তখন ছবি তুলে খবরে ভেসে থাকার চেষ্টা করছেন। এরা সব মানসিক রোগী। শুভেন্দু মানসিক রোগী। রাহুল সিনহা চুল আঁচড়ায় দেখুন, যেন যাত্রা পালার সখী। এরা এখন গোষ্ঠী রাজনীতি করছে।’ রবিবার হাওড়ায় বিজেপির পার্টি অফিস দেখতে আসার জন্য কাঁথি থেকে বেরোন বিজেপি নেতা। কিন্তু রাস্তায় পুলিশ তাঁর গাড়ি আটকায়। এর পর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে চিঠি লেখেন বিরোধী দলনেতা। চিঠিতে শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকায় তিনি স্তম্ভিত। গতকাল রাত থেকে তাঁর কাঁথির বাড়ির সামনে পুলিশের ব্যারিকেড তৈরি করা হয়। এরপর হাওড়া গ্রামীণ ও হাওড়া কমিশনারেট এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি থাকার কারণ দেখিয়ে তাঁকে সেখানে যেতে বাধা দেওয়া হয় বলে জানান তিনি। একইসঙ্গে কাঁথির আইসি সীমালঙ্ঘন করেছেন বলেও মুখ্যসচিবকে লেখা চিঠিতে অভিযোগ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁকে রাস্তায় আটকে দেওয়া নিয়ে আদালতেও যাবেন বলেও হুঁশিয়ারি দেন বিরোধী দলনেতা। প্রায় ২ ঘণ্টা আটক করে রাখার পর অবশেষে তাঁর রাস্তা ছেড়ে দেয় পুলিশ। এর পর তমলুক থেকে সোজা কলকাতায় এসে পৌঁছন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। কলকাতায় এসে মেয়ো রোডে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে বিজেপির রাজ্য সভাপতির সঙ্গে অবস্থানে বসেন তিনি।