এবার বিজেপির উপরে পাল্টা চাপ দিয়ে দিল তৃণমূল। শনিবার শুভেন্দু অধিকারীর আয়করের হিসেব প্রকাশ করে তৃণমূল মুখপাত্রের দাবি, শুভেন্দুর পচুর টাকা বাড়েনি। কিন্তু অধিকারী পরিবারের সম্পত্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন তৃণমূল নেতা। সাল ধরে ধরে শিশির অধিকারীর সম্পত্তির হিসেব তুলে ধরলেন কুণাল ঘোষ। গতকালই কুণাল ঘোষ হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অধিকারী পরিবারের আর্থিক অনিয়ম প্রকাশ্যে আনবেন। সেই মতো আজ সাংবাদিক সম্মেলন করে কুণাল অভিযোগ করেন, ২০০৯ সালে সাংসদ হিসেবে শিশির অধিকারী সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ১০ লাখ টাকা। ২০১১ সালে সেই সম্পত্তির পরিমাণ বেড়ে হয় ১৬ লাখ টাকার কাছাকাছি। কিন্তু দেখা যাচ্ছে ২০১২ সালে তিনি যখন মন্ত্রী হচ্ছেন তখন প্রধানমন্ত্রীর দফতরকে দেওয়া তাঁর আর্থিক সম্পত্তির পরিমাণ দেখানো হয় ১০ কোটি টাকা। এক বছরের মধ্যে শিশিরবাবুর সম্পত্তির পরিমাণ ১৬ লাখ টাকা থেকে বেড়ে কীভাবে ১০ কোটি টাকা হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কুণাল। তৃণমূল নেতার প্রশ্ন নির্বাচন কমিশন বা প্রধানমন্ত্রী দফতরে যে তথ্য শিশিরবাবু দিয়েছেন তা কি ভুল? শিশির অধিকারীর উচিত ওই তথ্য ঠিক করে দেওয়া। কুণাল ঘোষ বলেন, ২০০৯ সালে শিশিরবাবু নির্বাচন কমিশনে হলফনামা দেন তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ১০ লাখ ৮৩ হাজার ১৫৯ টাকা। এরপর ২০১১ সালে উনি যে প্রধানমন্ত্রীকে যে হিসেব দিচ্ছেন সেখানে দেখা গেল সম্পত্তির পরিমাণ ১৫ লাখ ৯৬ হাজার ৩০৬ টাকা। ২০১২ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার মন্ত্রীদের সম্পত্তির যে তালিকা তাতে শিশিরবাবুর সম্পত্তির পরিমাণ ১০ কোটি ৩৪ লাখ ৪৯ হাজার ৫০০ টাকা। অর্থাত্ ১ বছরের ১০ কোটি টাকা বেড়েছে। এটা কোন ম্যাজিকে হয়? এই টাকা কোথা থেকে এল? আপনার বাড়ির ছেলে অন্যের বাড়ির দিকে তাকিয়ে অসভ্যতা করে যাবে, তাহলে আপনার কীভাবে ১ বছরে এত টাকা বাড়ল? বাবার সম্পত্তি এক বছরে ১ কোটি টাকা কীভাবে বাড়ে তার ব্যাখ্যা দেওয়া উচিত শুভেন্দুর।