স্বাস্থ্য ভবনের সামনে জুনিয়র চিকিৎসকদের অবস্থান বিক্ষোভে বড়সড় হামলার চক্রান্ত চালাচ্ছে বামেদের একটি যুব সংগঠন এবং অতি বাম একটি সংগঠনের দুই নেতার মধ্যে কথোপকথনের একটি অডিও ক্লিপ প্রকাশ করে এমনই দাবি করলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ৷ যদিও এই অডিও ক্লিপের সত্যতা যাচাই করেনি বঙ্গনিউজ ৷ রাজ্য সরকার এবং শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে বদনাম করতেই এই পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন কুণাল ঘোষ৷ পোস্টের সমর্থনে কুণাল ঘোষ একটি কথোপকথনও তুলে ধরেছেন। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক দাবি করেছেন, গতকাল জুনিয়র চিকিৎসকরা যখন নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের জন্য গিয়েছিলেন, তখনই এই হামলা চালানোর কথা ছিল৷ কিন্তু কোনও কারণে সেই হামলা চালানো সম্ভব হয়নি৷ কুণাল ঘোষের দাবি, যে দুই সংগঠন মিলে এই চক্রান্ত সাজিয়েছে, তাদের সূত্রেই এই অডিও ক্লিপ শাসক দলের হাতে এসেছে৷ কুণাল ঘোষের প্রকাশ করা এই অডিও ক্লিপে দুই ব্যক্তির কথোপকথন উঠে এসেছে৷ সেখানে প্রথমে একজনকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘সাহেব অর্ডার করেছে সল্ট লেক ওড়ানোর জন্য৷’ এর পরের কথোপকথনে দ্বিতীয় ব্যক্তিকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘আমি এত বছর এই কাজ করেছি, কোনোদিন ভয়ডর লাগেনি কিন্তু এখন এটাতে বিবেকে লাগছে, করাটা কী ঠিক হবে, ওরা তো লোকের জীবন বাঁচায়। অডিও ক্লিপে বাপ্পা বলে একজনের নামও উঠে এসেছে৷’ এই অডিও ক্লিপ প্রকাশ করে কুণাল ঘোষ অভিযোগ করেন, ‘এটা একটা ভয়ঙ্কর চক্রান্ত৷ আমরা বার বার বলছি৷ জুনিয়র ডাক্তারদের সামনে রেখে যারা অন্য খেলা খেলছে, জুনিয়র ডাক্তারদের বলি দেওয়ার চক্রান্ত চলছে৷ বৈঠক বাতিলের পর হামলা হলে এর দায় বর্তাবে সরকার এবং তৃণমূল কংগ্রেসের উপর৷ স্বাস্থ্য ভবনের সামনে কোনও বহিরাগত যেন ঢুকতে না পারে৷ তৃণমূল বিরোধীরা জুনিয়র ডাক্তারদের বন্ধু সেজে ভিড় করছে৷’ স্বাস্থ্য ভবনের সামনে জড়ো হয়ে বহু মানুষ জুনিয়র চিকিৎসকদের হাতে খাবার, পানীয় জল তুলে দিচ্ছেন৷ এই প্রসঙ্গ তুলেই কুণাল ঘোষ বলেন, ‘খাবারে কেউ কিছু মিশিয়ে দিলে কে দায় নেবে? যা হবে সরকারের উপরে দায় বর্তাবে৷ জুনিয়র ডাক্তারদের উপরে হামলা চালিয়ে সরকারকে বদনাম করার বিরাট চক্রান্ত চলছে৷’ কুণাল ঘোষ অভিযোগ করেছেন, স্বাস্থ্য ভবনের সামনে জুনিয়র চিকিৎসকদের অবস্থান মঞ্চে বিজেপি এবং বাম রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত অনেককেই দেখা গিয়েছে৷ তাঁদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করার জন্যও পুলিশ এবং আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের কাছে দাবি জানিয়েছেন তৃণমূল নেতা৷ X হ্যান্ডলে তা পোস্ট করে কুণাল ঘোষের দাবি, রাজ্য সরকার ও তৃণমূলকে বেকায়দায় ফেলতে এই ‘ভয়ংকর চক্রান্ত’ করছে বাম-অতিবামেরা। তাদের যুব সংগঠনের সদস্যদের যাতায়াতও রয়েছে ওই ধরনাস্থলে। আর তাই পুলিশের কাছে তাঁর আবেদন, স্বাস্থ্যভবনের সামনের সভাস্থলে ‘বহিরাগত’দের আনাগোনা রয়েছে। তাতে লাগাম পরানো হোক। কুণাল ঘোষের আর্জি, অবিলম্বে পুলিশ প্রশাসন ওখানে বহিরাগত প্রবেশ বন্ধ করুক।
👆স্বাস্থ্য ভবনের সামনে অবস্থানরত অরাজনৈতিক চিকিৎসক আন্দোলনের জুনিয়র ডাক্তারদের কয়েকজন বিজেপির সল্টলেক পার্টি অফিস